Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ায় বিতর্ক

এসএফআইয়ের অভিযোগ, টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থাকায় ২৮ অগস্ট পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৮ ০০:২০
Share: Save:

পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরে এ বার বিতর্ক তৈরি হল বর্ধমানেও। দূরশিক্ষা বিভাগের স্নাতকোত্তর পার্ট ১-এর বাংলা পরীক্ষা ২৮ অগস্টের বদলে নেওয়া হবে ১১ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার রাতে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ কথা জানানো হয়। এর আগে স্নাতক স্তরে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একটি পরীক্ষাও ২৮ অগস্টের বদলে ৬ সেপ্টেম্বর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। এসএফআইয়ের অভিযোগ, টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থাকায় ২৮ অগস্ট পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ওয়েবসাইটে ৭ অগস্ট বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, স্নাতক পার্ট ২-এর রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও বাণিজ্যিক বিষয়ের পরীক্ষা ২৮ অগস্টের পরিবর্তে ৬ সেপ্টেম্বর হবে। এর পরে শুক্রবার রাতে আচমকা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, ২৮ অগস্টের স্নাতকোত্তর পার্ট ১-এর বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেটি হবে ১১ সেপ্টেম্বর। কেন এই সিদ্ধান্ত? বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক আনন্দজ্যোতি পাল জানান, অনিবার্য কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর বেশি কিছু জানাতে চাননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ও বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, ২৮ অগস্ট স্নাতকের সমস্ত পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসএফআই-এর অভিযোগ, ওই দিন টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবস। পরীক্ষা থাকলে সভায় যোগ দিতে পারবেন না ছাত্রছাত্রীরা। তাই টিএমসিপি-র চাপে পরীক্ষা পিছিয়ে দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি, দাবি এসএফআই নেতাদের। যদিও টিএমসিপি নেতাদের বক্তব্য, পরীক্ষা পিছনোর সঙ্গে সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের কোনও সম্পর্ক নেই। পরীক্ষা কেন পিছিয়ে গেল, তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই বলতে পারবেন।

এসএফআইয়ের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরীর অভিযোগ, ‘‘ফল প্রকাশ নিয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এত দুর্নাম হয়েছে, তাতেও শিক্ষা হয়নি। এখন আবার টিএমসিপি-র সভার জন্য পরীক্ষা পিছিয়ে কলঙ্ক বাড়িয়ে নিল।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি নেতা আমিরুল ইসলামের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘বাম আমলে ছাত্র আন্দোলনের নামে বিশ্ববিদ্যালয় স্তব্ধ করে দেওয়া হত। দিনের পর দিন পরীক্ষা পিছোনো রেওয়াজ হয়ে গিয়েছিল। এখন এ সব হচ্ছে না বলে এসএফআইয়ের গাত্রদাহ হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE