অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়ামে ‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্রের ব্যবস্থা। নিজস্ব চিত্র
করোনার সংক্রমণ হলে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায়, সে জন্য তৈরি করা হচ্ছে পরিকাঠামো। কালনা মহকুমায় পাঁচটি জায়গাকে নিভৃতবাসের জায়গা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এ ছাড়া, কালনা মহকুমা হাসপাতালের ‘আইসোলেশন’ ওয়ার্ডে বাড়ানো হচ্ছে শয্যার সংখ্যা।
কালনা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এত দিন ‘আইসোলেশন ওয়ার্ডে-এ ২০ জনের চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল। তা ৭০ জনের করা হয়েছে। আক্রান্তের চিকিৎসা কী ভাবে হবে, সে জন্য পরিকাঠামো তৈরি করে রাখা হয়েছে। চিকিৎসক, নার্স-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় পোশাক, ‘মাস্ক’ পৌঁছে গিয়েছে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল চত্বরে জীবাণুনাশক ‘স্প্রে’ করা হচ্ছে দফায়-দফায়।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের পাঁচটি জায়গাকে ‘কোয়রান্টিন’ বা নিভৃতবাসের কেন্দ্র হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়াম, কালনা পলিটেকনিক কলেজ, রবীন্দ্রসদন, পুরসভার ‘উত্তরায়ণ’ কেন্দ্র ও শহরের একটি লজ—এই পাঁচটি কেন্দ্রে ২৫৩ জনের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে স্টেডিয়াম ও লজে শনিবার প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত সেরে ফেলা হয়েছে। মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাকিগুলি পরিস্থিতি দেখে তৈরি করে ফেলা হবে। নিভৃতবাসের জন্য যাঁদের আনা হবে তাঁদের সেখানেই খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু কালনা শহরে নয়, মহকুমার পাঁচটি ব্লকে সম্ভাব্য নিভৃতবাস কেন্দ্র হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৩৬টি জায়গা। এর মধ্যে এ দিন একটি করে কেন্দ্রে বন্দোবস্ত সম্পূর্ণ করা হয়েছে। কালনার মহকুমাশাসক সুমনসৌরভ মোহান্তি বলেন, ‘‘আচমকা সংক্রমণ বড় আকারে ছড়ালে তা যাতে মোকাবিলা করা যায়, সে জন্য প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy