মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যুঝছেন যাঁরা, সেই ডাক্তার থেকে আশাকর্মী, প্রত্যেকের সুস্থতা চেয়ে শুভেচছা-বার্তা পাঠাতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেও নানা সরকারি প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্তদের ঠিকানায় শুভেচ্ছা-বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। এ বারও যাঁরা লড়াই করছেন, তাঁদের ব্যক্তিগত ভাবে কুর্নিশ জানাতে চান মুখ্যমন্ত্রী।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর স্বাক্ষরিত চিঠি প্রথম পর্যায়ে পৌঁছে যাবে চিকিৎসক, নার্স থেকে আশাকর্মীদের কাছে। নবান্ন থেকে চিঠির বয়ানও চলে এসেছে জেলায়। পূর্ব বর্ধমানে প্রথম দফায় সাড়ে আট হাজারের মতো চিঠি ছাপাতে হবে বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ব্লক স্তরে ‘ভিডিয়ো কনফারেন্স’-এ এই চিঠির কথা জানান মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) প্রণব রায়। কী ভাবে আশাকর্মী পর্যন্ত চিঠি পৌঁছনো যাবে ব্লক মেডিক্যাল অফিসার (বিএমওএইচ)-দের তার পরিকল্পনা করার নির্দেশ দেন তিনি। ওই চিঠিতে লেখা রয়েছে, ‘কোভিড-১৯ কে কেন্দ্র করে সারা পৃথিবী এখন এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলছে। আমাদের প্রিয় বাংলাতেও এর প্রভাব পড়েছে। এই গভীর বিপদের সময়ে আপনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে দায়িত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে রাজ্যের মানুষের সেবা করে চলছেন, তাকে আমি কুর্নিশ জানাচ্ছি। সত্যি, আপনাকে ধন্যবাদ জানানোর কোনও ভাষা আমার কাছে নেই। আমি নিশ্চিত, যত দিন না আমরা সবাই এই পরিস্থিতি থেকে পুরোপুরি মুক্ত হচ্ছি, আপনি সম্পূর্ণ ভাবে আপনার ভূমিকা পালন করে যাবেন’।
ওই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী পরিবারের সকলকে নিয়ে সাবধানে থাকার ও যত্ন নেওয়ার কথা বলেছেন। এমনকি, কোনও কর্মীর প্রয়োজন হলে দফতরের কার সঙ্গে কথা বলতে হবে সেই নম্বরও চিঠিতে জানানো হয়েছে। শেষে লেখা রয়েছে, ‘সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় এই পরিস্থিতি আমরা দ্রুত কাটিয়ে উঠব। ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন’।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি আমাদের আরও ভাল কাজ করতে উৎসাহ জোগাবে।’’ জেলার নিচুতলার অনেক স্বাস্থ্যকর্মী, আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কথায়, “এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা-বার্তা আমরা পেয়েছি। এই কঠিন সময়ের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি, সেটা উনি বুঝছেন জেনে ভাল লাগছে। কিন্তু মাস্ক-সহ অন্য দরকারি জিনিসের সরবরাহ ঠিকঠাক থাকলে ভাল হয়।’’
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এ দিন ‘ভিডিয়ো কনফারেন্স’-এ আশাকর্মীদের প্রয়োজনীয় জিনিস তাড়াতাড়ি সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “প্রত্যেক ব্লকেই দাবিমতো জিনিস পৌঁছে গিয়েছে। এ বার যেন তা নিচুতলায় পৌঁছে দেওয়া হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy