Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

স্বাস্থ্যপরীক্ষায় ভিড়, নাভিশ্বাস হাসপাতালের

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জিউধারা, হাটকালনা, পূর্ব সাহাপুর, কল্যাণপুর, অকালপৌষের মতো নানা জায়গায় বাইরে থেকে ফেরা মানুষজন নিজে থেকে স্বাস্থ্যপরীক্ষা না করালে এলাকার বাসিন্দারা সক্রিয় হচ্ছেন।

 বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর জন্য ভিড়। শনিবার। ছবি: উদিত সিংহ

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর জন্য ভিড়। শনিবার। ছবি: উদিত সিংহ

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২০ ০৬:৩২
Share: Save:

ভিন্‌ দেশ বা ভিন্‌ রাজ্যে গিয়েছিলেন কর্মসূত্রে বা পড়াশোনার জন্য। করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরিস্থিতিতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন তাঁরা। ফেরার পরেই স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য লাইন দিচ্ছেন হাসপাতালে। সেই সংখ্যা লাফিয়ে-লাফিয়ে বাড়তে থাকায় হিমসিম খেতে হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।

রাজমিস্ত্রি থেকে গয়না তৈরি, নানা কাজের জন্য কালনার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কয়েক হাজার মানুষ কেরল, মহারাষ্ট্র, গুজরাত-সহ নানা রাজ্যে যান। আবার কুয়েত, কাতার, দুবাইয়ের মতো নানা দেশে কাজে যান অনেকে। ভিন্‌ রাজ্য থেকে ফিরতে থাকা শ্রমিকদের অনেকে জানান, করোনাভাইরাস যাতে ছড়াতে না পারে, সে জন্য আপাতত কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বহু সংস্থা। বাধ্য হয়ে আপাতত বাড়ি ফিরে আসতে হচ্ছে তাঁদের। ভিড়ে ঠাসা ট্রেন-বাসে যাত্রা করার পরে, স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো জরুরি হয়ে পড়ছে। তাই হাসপাতালে ভিড় জমাতে হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জিউধারা, হাটকালনা, পূর্ব সাহাপুর, কল্যাণপুর, অকালপৌষের মতো নানা জায়গায় বাইরে থেকে ফেরা মানুষজন নিজে থেকে স্বাস্থ্যপরীক্ষা না করালে এলাকার বাসিন্দারা সক্রিয় হচ্ছেন। তাঁরাই থানায় ফোন করে জানিয়ে দিচ্ছেন সে খবর। কালনার এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘‘নানা এলাকা থেকে ফোন পাচ্ছি। বাইরে থেকে ফিরে কেউ হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা না করলে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে এলাকায়। দ্রুত সেই সব লোকজনকে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।’’ কালনা মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বাইরে থেকে ফিরে অনেকে সরাসরি হাসপাতালেও চলে আসছেন।

শনিবার কালনা হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বহু মানুষ এসে লাইন দিয়েছেন। হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই জানান, শনিবার এক জনকে হাসপাতালের সাধারণ ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’-এ ভর্তি করানো হয়েছে। ভিন্‌ দেশ ও রাজ্য থেকে আসা যাঁদের জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, তাঁদের হাসপাতালের নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। অন্যদের ১৪ দিন ‘হোম কোয়ারান্টিন’-এ থাকতে বলা হচ্ছে। কালনা মহকুমায় ‘হোম কোয়রান্টিনে’ থাকা বাসিন্দার সংখ্যা শনিবার পর্যন্ত ১১৩০ জন।

মহকুমাশাসক (কালনা) সুমনসৌরভ মোহান্তি জানান, হোম কোয়রান্টিনে থাকা লোকজনের উপরে নজরদারি চালাচ্ছেন সিভিক ভলান্টিয়ার, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE