প্রতীকী ছবি
ছেলেমেয়েরা কর্মসূত্রে অন্যত্র থাকেন। বাড়িতে বাস শুধু প্রবীণ দম্পতির। দুর্গাপুরে এমন পরিবারের সংখ্যা কম নয়। তাঁদের বাড়িতে নানা কাজের জন্য ভরসা পরিচারিকারাই। করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্কতার পরিস্থিতিতেও সেই পরিচারিকাদের কাজে আসতে জোর করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মহকুমা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিচারিকাদের সবেতন ছুটি দিতে অনুরোধ করা হবে বাসিন্দাদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক-এক জন পরিচারিকা কয়েকটি করে বাড়িতে কাজ করেন। ফলে, পরিচারিকাদের যেমন সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তেমনই তাঁদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর ভয়ও থাকছে। সোমবার বিকেল থেকে শুরু হয়েছে ‘লকডাউন’। সবাইকে ঘরবন্দি থাকার আবেদন জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। পরিচারিকাদের অনেকের দাবি, তাঁরা বাড়ি-বাড়ি ঘুরে কাজ করলে সেই নির্দেশ পালন করা যাবে না।
অনেক পরিচারিকার অভিযোগ, রবিবার ‘জনতা কার্ফু’র দিন কাজে না যাওয়ায় সোমবার গিয়ে তাঁদের ধমক খেতে হয়েছে। সেই সঙ্গে ‘লকডাউন’-এর দিনগুলিতেও আসতে বলা হয়েছে, দাবি তাঁদের। বিষয়টি সমর্থন করছেন না বাসিন্দাদের একাংশও। সিটি সেন্টার এলাকার বাসিন্দা অপালা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কয়েক দিন নিজেরা নিজেদের কাজ করে কোনওমতে করে নেওয়া উচিত। তাতে সবারই ভাল হবে।’’
মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) অনির্বাণ কোলে জানান, সরকারি আধিকারিক ও কর্মীরা ইতিমধ্যে পরিচারিকাদের সবেতন ছুটি দিয়েছেন। এ বিষয়ে পুরসভাকে মাইকে করে প্রচারও করতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে কয়েক দিন পরিচারিকাদের ছুটি দিতে হবে। আমাদের অনুরোধ, মানবিক দিকটি খেয়াল রেখে পরিচারিকাদের এই সময়ের বেতন যে না কাটা হয়। পরিস্থিতির উন্নতি হলে ফের তাঁরা কাজে যোগ দেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy