Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র পিছু ‘টাস্ক ফোর্স’ গঠনের নির্দেশ

শনিবার বর্ধমান শহরে ১৩৮ শয্যার ‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্রের প্রস্তুতি দেখতে যান জেলাশাসক বিজয় ভারতী, সিএমওএইচ প্রণব রায়-সহ স্বাস্থ্য ও পূর্ত দফতরের কর্তারা।

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২০ ০০:৪৫
Share: Save:

প্রতিটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র পিছু ‘টাস্ক ফোর্স’ গঠনের সিদ্ধান্ত নিল জেলা পঞ্চায়েত দফতর। আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ পাঁচ জনকে নিয়ে ওই টাস্ক ফোর্স গঠনের জন্য প্রতিটি পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদ) প্রবীর চট্টোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে প্রতি পঞ্চায়েতকে ‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্র গড়ার মতো উপযুক্ত পরিকাঠামো রয়েছে, অন্তত একটি করে এমন ভবন দেখতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কারা সমন্বয় রাখবেন, সে তালিকা দিতে বলা হয়েছে। কাটোয়া-সহ তিনটি মহকুমা ‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্রের তালিকা, সমন্বয় কর্মীদের নাম জমা দিয়েছে।

শনিবার বর্ধমান শহরে ১৩৮ শয্যার ‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্রের প্রস্তুতি দেখতে যান জেলাশাসক বিজয় ভারতী, সিএমওএইচ প্রণব রায়-সহ স্বাস্থ্য ও পূর্ত দফতরের কর্তারা। জেলাশাসক কাজ দ্রুত শেষ করতে বলেন পূর্ত দফতরকে। শহর লাগোয়া আরও কিছু ভবন চিহ্নিত করে ‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সে জন্য বিভিন্ন দফতরকে ফাঁকা ভবন খুঁজতে বলা হয়েছে।

এ দিন বর্ধমানের তিনটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো জানার পরে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসার প্রস্তুতির পরামর্শ দেওয়া হয়। একটি হাসপাতালের কর্তা বলেন, ‘‘আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু কর্মীদের জন্য মাস্ক, পোশাক দিতে বলা হয়েছে।’’

জেলায় ৫৯২টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। কেন্দ্র পিছু ‘টাস্ক ফোর্স’ গড়া হলে প্রয়োজনীয় ‘মাস্ক’, ‘স্যানিটাইজ়ার’ দেওয়া হবে কি না, সে প্রশ্ন উঠেছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক অবশ্য বলেন, ‘‘টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হবে।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ভিন্‌ দেশ থেকে আসা আট জনের খোঁজ নেই। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে দু’জন, কাটোয়া ও কালনায় এক জন করে, মোট চার জন ‘আইসোলেশন’-এ রয়েছেন।

মেহদিবাগান, গোলাপবাগ, ইছলাবাদ, বড়নীলপুর-সহ নানা এলাকায় অত্যাবশ্যক নয়, এমন দোকান খোলা থাকছে, আড্ডা চলছে বলে অভিযোগ। শহরবাসীর একাংশের দাবি, পুলিশের আরও সক্রিয়তা দরকার। যদিও পুলিশ জানায়, এলাকায় ঘুরে বাসিন্দাদের বোঝানো হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown Bardhaman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE