Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

‘ভুয়ো’ বার্তা ছড়ানোয় অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী

‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত’ এক বৃদ্ধার চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে। শনিবার বিকেলে ইসিএলের স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করে ‘সোশ্যাল মিডিয়া’য় একটি ‘অডিয়ো ক্লিপিং’ (সত্যাসত্য যাচাই করেনি আনন্দবাজার) ছড়িয়ে পড়ে আসানসোলে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২০ ০৬:০১
Share: Save:

করোনা-সংক্রমণ নিয়ে এ বার ভুয়ো বার্তা ছড়ানোর অভিযোগ উঠল খোদ স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে।

আসানসোলের ঘটনা।

‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত’ এক বৃদ্ধার চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে। শনিবার বিকেলে ইসিএলের স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করে ‘সোশ্যাল মিডিয়া’য় একটি ‘অডিয়ো ক্লিপিং’ (সত্যাসত্য যাচাই করেনি আনন্দবাজার) ছড়িয়ে পড়ে আসানসোলে। স্বাস্থ্য দফতর ও ইসিএলের দাবি, ওই বৃদ্ধা তো বটেই সোমবার সকাল পর্যন্ত পশ্চিম বর্ধমানের কোথাও কোনও করোনা-আক্রান্ত বাসিন্দার খবর নেই। ইসিএল ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের দাবি, ওই ‘অডিয়ো’-বার্তাটি ছড়িয়ে দেন এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী।

‘অডিয়ো’য় অভিযুক্ত দাবি করেন, গত শুক্রবার রাতে কুলটির নিয়ামতপুরের শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা এক বৃদ্ধাকে নিয়ে ইসিএলের সাঁকতোড়িয়া হাসপাতালে যান তাঁর ছেলে। কিন্তু চিকিৎসকেরা ওই বৃদ্ধাকে করোনা-আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি করেননি। কোনও রকম স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করে, বৃদ্ধাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করানো হলে, কিছু ক্ষণ পরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ‘অডিয়ো’-বার্তায় মহিলা দাবি করেন, ওই বৃদ্ধা এবং তাঁর এক মেয়ে করোনা-আক্রান্ত। তাঁর মেয়েকে পুলিশ বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। ইসিএলের স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে করোনা-চিকিৎসা ও সতর্কতায় অবহেলারও অভিযোগ করেন ওই মহিলা।

স্বাস্থ্য দফতর জানায়, টানা তদন্তের পরে সোমবার জানা যায়, মহিলার অভিযোগ ভিত্তিহীন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘ওই বৃদ্ধার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। আর অন্য কোনও রোগের উপসর্গ ছিল না। ‘ভুয়ো’ বার্তা যিনি ছড়িয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হবে।’’ বৃদ্ধার করোনা-উপসর্গ ছিল না, বলে জানান ইসিএলের সাঁকতোড়িয়া হাসপাতালের মুখ্য চিকিৎসক সুশান্ত সিংহ। বৃদ্ধার ছেলেও পেশায় ডাক্তার। তিনিও দাবি করেন, ‘‘মা হৃদরোগে আক্রান্ত হন। বাবা ইসিএলের প্রাক্তন কর্মী। সেই জন্য মাকে ইসিএলের সাঁকতোড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা পেতে সমস্যা হবে বুঝে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। মায়ের শরীরে করোনা-সংক্রান্ত কোনও উপসর্গ ছিল না।’’ তাঁর কোনও বোন নেই বলেও তিনি দাবি করেছেন।

ইসিএল সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী সংস্থারই কাল্লা হাসপাতালে কর্মরত। এই প্রসঙ্গে ইসিএলের চিফ মেডিক্যাল সুপারিন্টেডেন্ট রত্না চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘অডিয়ো ক্লিপিং’-এর বিষয়ে বিভাগীয় তদন্ত হচ্ছে। ইসিএলের প্রশাসক (হাসপাতাল) সোমনাথ মণ্ডল জানান, ওই কর্মীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। বহু চেষ্টা করেও এ দিন যোগাযোগ করা যায়নি অভিযুক্ত মহিলার সঙ্গে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE