Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

বাজারে প্রচারের সিদ্ধান্ত পুলিশের

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি থানা এলাকায় ভবঘুরেদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা হবে। বুধবার রাতে মেমারি থানা থেকে শুরু হয়েছে।

গ্যাস সিলিন্ডার জোগাড়। কাটোয়ায়। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়

গ্যাস সিলিন্ডার জোগাড়। কাটোয়ায়। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২০ ০৩:০৪
Share: Save:

করোনা রুখতে ‘লকডাউন’ শুরু হওয়ার পর থেকে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ উঠছিল পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সেই ছবি অনেকটা পাল্টেছে বলে দাবি জেলার নানা প্রান্তের বাসিন্দাদের। বিশেষ প্রয়োজনে রাস্তায় বেরনো মানুষজনকে পুলিশ আটকায়নি বলে জানান পথচারীদের অনেকে। তবে বিভিন্ন পার্কে, রাস্তার মোড়ে অনেকে আড্ডা দিতে বা খেলতে বেরিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন জনপদে গিয়ে করোনা মোকাবিলা নিয়ে মানুষকে বোঝানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে দেওয়ানদিঘি থানার ন্যাড়া-গোয়ালিয়া হাটে এই কর্মসূচিতে যান জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, ডিএসপি (সদর) শৌভিক পাত্রেরা।

পুলিশ সুপার এ দিন হাটে থাকা মানুষজনকে আর্জি জানান, ‘‘এক জায়গায় সবাই ভিড় করবেন না। অযথা আতঙ্কিতও হবেন না। আনাজ-সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ঠিকমতোই পাওয়া যাবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বেরোবেন না। বাড়িতে প্রতি ঘণ্টায় সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিলেন বিপদমুক্ত থাকবেন।’’ জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠি উঁচিয়ে তাড়ার করার একটি ঘটনার রিপোর্ট পেয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি থানা এলাকায় ভবঘুরেদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা হবে। বুধবার রাতে মেমারি থানা থেকে শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রতিটি থানায় এই ব্যবস্থা হয়েছে। ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের আকাল কাটাতে প্রতিটি থানাকে ১০ ইউনিট করে রক্ত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে রক্ত দেবেন পুলিশকর্মীরা। জেলা প্রশাসনও পুরসভার এলাকায় থাকা ভবঘুরেদের খাওয়ার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে জন্য চালকল মালিক সমিতির সঙ্গে বৈঠকও করেছেন জেলাশাসক বিজয় ভারতী। তিনি বলেন, ‘‘দেড়শো বস্তা চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। পুরসভাগুলিতে ওই প্রকল্প চালু করা হবে। বর্ধমান পুরসভায় বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে।’’ এ দিন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ তাঁর এলাকায় কয়েকটি স্টেশনে থাকা ভবঘুরেদের খাবার এবং মাস্ক ও স্যানিটাইজার দিয়েছেন।

অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের গাড়ি যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে, অভিযোগ করছিলেন ব্যবসায়ীরা। তার জেরে জিনিসের দাম বাড়ছিল বলেও অভিযোগ। হয়রানির নালিশ জানাচ্ছিলেন কৃষকেরাও। জেলাশাসক বলেন, ‘‘ব্লক প্রশাসন এবং থানার কাছ থেকে চিঠি নিয়ে যাতায়াত করতে বলা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE