Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

‘হোম কোয়রান্টিন’-এ নিয়ম মানা নিয়ে প্রশ্ন

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, ‘পরিযায়ী’ শ্রমিকদের বাড়িতেই মূলত ওই নোটিস সাঁটানো হচ্ছে। বেশিরভাগ জনেরই ছোট বাড়ি। ঠাসাঠাসি করে থাকেন। আলো-বাতাস কম চলাচল করে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সৌমেন দত্ত
বর্ধমান শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২০ ০০:৫৬
Share: Save:

বাইরে থেকে ফেরা বাসিন্দারা যাতে ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ থাকেন, সে জন্য মুচলেকা নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের বাড়ি চিহ্নিত করে নোটিসও সাঁটানো হচ্ছে। জেলা পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে সব বাসিন্দা ভিন্‌ রাজ্য বা বিদেশ থেকে এসে ‘ঘরবন্দি’ রয়েছেন, তাঁরা যদি ক্রমাগত বাইরে বেরোতে থাকেন, তাঁদের ‘কোয়রান্টিন’ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ থাকা বাসিন্দাদের কী কী নিয়ম মানতে হবে, প্রশ্ন উঠেছে সে নিয়ে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, ‘পরিযায়ী’ শ্রমিকদের বাড়িতেই মূলত ওই নোটিস সাঁটানো হচ্ছে। বেশিরভাগ জনেরই ছোট বাড়ি। ঠাসাঠাসি করে থাকেন। আলো-বাতাস কম চলাচল করে। একটি শৌচাগারই সবাই মিলে ব্যবহার করেন। অথচ, নিয়ম অনুযায়ী ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ থাকার জন্য আলো-বাতাস চলাচল করে এমন ঘরে থাকতে হবে। শৌচাগার আলাদা থাকা বাঞ্ছনীয়। বাসন বা গামছা-তোয়ালের মতো ঘরোয়া জিনিস অন্য কেউ ব্যবহার করবেন না। ‘সার্জিক্যাল মাস্ক’ পরে থাকতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের পরে ওই ‘মাস্ক’ নষ্ট করে নতুন পরতে হবে। বয়স্ক, শিশু, গর্ভবতী মহিলা ওই সব ব্যক্তির থেকে আলাদা থাকবেন। ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ থাকা ব্যক্তির থেকে সবাই অন্তত স্বাস্থ্য দফতরের নিয়মমাফিক দূরত্ব বজায় রাখবেন।

বাস্তবে এ সব নিয়ম যে মানা হয় না অনেক ক্ষেত্রেই, তা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা বুঝছেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) প্রণব রায় বলেন, ‘‘বেশিরভাগ বাড়িতেই ছোট-ছোট ঘর। একটি শৌচাগার। স্বাস্থ্যবিধান মেনে সবাই ওই নিয়ম মেনে চলতে পারছেন না। সে জন্য পুরো পরিবারকেই ‘হোম কোয়রান্টিন’-এর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।’’ কিন্তু গলসির কোলকোল থেকে মঙ্গলকোটের পারাজে ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ থাকা বাসিন্দাদের অনেকেরই প্রশ্ন, সবাই যদি বাড়িতে আটকে থাকেন তাহলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বা পেট চালানোর মতো সামগ্রী কী ভাবে মিলবে? সিএমওএইচ বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।’’

জেলা প্রশাসন জানায়, ইতিমধ্যে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ধরে ‘টাস্ক-ফোর্স’ গঠন করা হয়েছে। তারা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিতে শুরু করেছে। জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, ‘‘কোনও পরিবার অভুক্ত থাকবে, এটা হতে পারে না। যদি কারও কোনও সমস্যা হয়, টাস্ক ফোর্স বা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে পাশে থাকব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE