Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

এক দিনে ৩৮ জন ‘পজ়িটিভ’

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এক দিনে এত জন আক্রান্তের সন্ধান আগে এই জেলায় মেলেনি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২০ ০০:০১
Share: Save:

এক সঙ্গে ৩৮। রবিবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় মিলল এত জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান। গত মাসখানেক ধরে দিনে যেখানে গড়ে জনা তিনেক করে আক্রান্তের হদিস মিলছিল, সেখানে এ দিন এক লাফে এত জনের রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ আসায় চিন্তিত জেলা প্রশাসন থেকে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এক দিনে এত জন আক্রান্তের সন্ধান আগে এই জেলায় মেলেনি। এর আগে সর্বোচ্চ সংখ্যা ছিল ২১। এ দিন যাঁদের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে, তাঁর মধ্যে কাটোয়া মহকুমার ২৪ জন এবং কালনা মহকুমার ১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া খণ্ডঘোষ ও রায়নার এক জন করে রয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগই দিল্লি, মহারাষ্ট্র ও তেলঙ্গানা থেকে বাড়ি ফিরেছেন। আবার কয়েকজনের কোনও ‘ট্র্যাভেল হিস্ট্রি’ পাওয়া যায়নি।

কাটোয়া মহকুমায় এ দিন ‘পজ়িটিভ’ রিপোর্ট আসা ২৪ জনের মধ্যে ১১ জনই কেতুগ্রাম ১ ব্লকের। বর্ধমান শহরকে (মোট আক্রান্ত ২০) পিছনে ফেলে আক্রান্তের সংখ্যায় জেলায় শীর্ষে এখন কেতুগ্রাম ১ ব্লক (মোট আক্রান্ত ২৬)। বিডিও (কেতুগ্রাম ১) বনমালী রায় বলেন, ‘‘অনেক পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন। তাঁদের সবার নমুনা এক সঙ্গে সংগ্রহ করা যায়নি। ৬ জুলাই থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ‘কিয়স্ক’ বসেছে, নমুনা সংগ্রহও বেশি হচ্ছে।’’ ব্লক প্রশাসন জানায়, সপ্তাহে তিন দিন গড়ে ১৫টি করে নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে। ৮ জুলাইয়ের নমুনা সংগ্রহের ফল রবিবার এসেছে। বিএমওএইচ (কেতুগ্রাম ১) অনুপ সরকার বলেন, ‘‘আক্রান্তদের বেশিরভাগ পরিযায়ী শ্রমিক। অনেকের মধ্যে উপসর্গ নেই, কারও কারও মৃদু উপসর্গ রয়েছে।’’ দাঁইহাটের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ দিন এক জনের রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ এসেছে। দাঁইহাটে এই প্রথম করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলল বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

জেলায় মে মাসের শেষ দিকে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পেয়েছিল। এক সপ্তাহের মধ্যে পঞ্চাশ থেকে একশোয় পৌঁছে গিয়েছিল করোনা রোগীর সংখ্যা। পরে সেই হার অনেকটাই কমেছিল। একশো থেকে দু’শোয় পৌঁছতে সময় লেগেছে এক মাসেরও বেশি। প্রশাসনের কর্তাদের মতে, মে মাসের শেষ ও জুনের গোড়ায় ভিন্‌ রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফিরতে শুরু করায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছিল। পরিযায়ী শ্রমিক আসা কমতেই আক্রান্তের সংখ্যাও কমেছে, মনে করছিলেন তাঁরা। সম্প্রতি মেমারি ১ ব্লকের কৃষ্ণপুরে এক করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যুর পরে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা নড়ে বসেন। ‘গোষ্ঠী সংক্রমণের’ আশঙ্কা করছিলেন তাঁদের একাংশ। এরই মধ্যে এক সঙ্গে ৩৮ জনের রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ আসায় চিন্তায় ভাঁজ পড়েছে তাঁদের কপালে। সিএমওইএচ প্রণব রায় বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টি আমাদের বিশ্লেষণ করতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in West Bengal Bardhaman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE