ফাইল চিত্র।
নমুনা পরীক্ষার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ‘কোবাস’ চালু না হওয়ার প্রভাব জেলাতেও পড়তে শুরু করেছে বলে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটি অংশের দাবি, এর জেরে শনিবার এক ধাক্কায় নমুনা পরীক্ষা অনেকটাই কমে গিয়েছিল জেলায়। ‘কোবাস’ চালু না হওয়ায় এই জেলার নমুনা পরীক্ষার দৈনিক লক্ষ্যমাত্রা দু’শো কমিয়ে আপাতত ৮০০ করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, রবিবার নাইসেডে পাঠানোর পরিবর্তে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঁচশো এবং এসএসকেএম হাসপাতালে প্রায় আড়াইশো নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। কিছু নমুনা গিয়েছে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবরেটরিতে। ‘কোবাস’ চালু না হওয়ার জন্য নমুনা পরীক্ষার হিসেবেও পদ্ধতিগত পরিবর্তন করা হয়েছে। ঠিক হয়েছে, জেলা থেকে লালারসের নমুনা পরীক্ষা করাতে ‘নাইসেড’ ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে না। তেমনই পশ্চিম বর্ধমানের তিনশোটি নমুনা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষা হবে না। সেগুলি কাঁকসার ‘কোভিড’ হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা হবে।
প্রতিদিন তিন হাজার পরীক্ষা করতে সক্ষম স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ‘কোবাস ৮৮০০’ চালু করার কথা ছিল নাইসেডের। যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য চলতি মাসে তা চালু হওয়ার সম্ভাবনা কম। এখন যা পরিস্থিতি তাতে দিনে ১২০০-র বেশি পরীক্ষা করা যাবে না। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, ‘কোবাস’ চালু হচ্ছে ধরে নিয়ে দিনে এক হাজার নমুনা পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা করে পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছিল। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, নাইসেড, আরজিকর, এনআরএস এবং এসএসকেএম হাসপাতালের ল্যাবরেটরিতে ‘আরটি-পিসিআর’ যন্ত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা করার কথা হয়েছিল। তবে নাইসেডে নমুনা পাঠানো বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ‘চাপ’ তৈরি হবে না বলেই মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু শনিবারের রিপোর্টে ‘আরটি-পিসিআর’ যন্ত্রে পরীক্ষার জন্য নমুনা গিয়েছে মাত্র ২৫৪টি! জমে থাকা নমুনা সংখ্যাও বাড়ছে বলে প্রশাসনির রিপোর্ট জানাচ্ছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) প্রণব রায় বলেন, ‘‘এক দিন নাইসেডে নমুনা পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছিল। রবিবার থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবরেটরিতে বেশি করে নমুনা পরীক্ষা জন্য পাঠানো হচ্ছে। এ ছাড়া এসএসকেএম, আরজিকর, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে নমুনা পাঠানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy