ভিড়িঙ্গি কালীবাড়িতে। নিজস্ব চিত্র
উপযুক্ত সতর্কতা মেনে সোমবার বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান খুলেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কিছু ধর্মীয় স্থান খোলার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বরাকরের কল্যাণেশ্বরী, সালানপুরের মুক্তাইচণ্ডী, আসানসোলের ঘাগরবুড়ি মন্দির এবং দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গি কালীবাড়ি। তবে ভিড়িঙ্গি কালীবাড়ি ছাড়া, এ দিন অন্য কোথাও সে ভাবে ভক্ত-সমাগম চোখে পড়েনি। অবশ্য আজ, মঙ্গলবার থেকে ভক্ত-সমাগম বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
মন্দিরের যাবতীয় সাফাই কাজ, সতর্কতা আগেভাগেই নেওয়া হয় বলে জানান কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের সেবাইতেরা, ঘাগরবুড়ি মন্দিরের উন্নয়নের কাজে যুক্ত ‘কালীপাহাড়ি ধর্মচক্র সেবা সমিতি’ ও মুক্তাইচণ্ডী মন্দির কমিটির সদস্যেরো। তবে এ দিন কোনও মন্দিরেই সে ভাবে ভক্ত-সমাগম নজরে পড়েনি। কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের অন্যতম সেবাইত মিঠু মুখোপাধ্যায় জানান, মঙ্গল ও শনিবার বেশি ভক্ত-সমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে ভক্তদের একাংশের সংশয়, যানবাহন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলে, বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা মন্দিরে আসতে পারবেন কি না। কালীপাহাড়ি ধর্মচক্রের সেবা সমিতির সভাপতি রূপেশ সাউও বলেন, ‘‘জাতীয় সড়কের পাশে ঘাগরবুড়ি মন্দির। এখানে ভক্ত-সমাগম বাড়তে হলে অবশ্যই গণ-পরিবহণ চালু হতে হবে।’’
এ দিন কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের বেশ কয়েকজন পুরোহিত ‘মাস্ক’ ছাড়া পুজো করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে মন্দিরের সেবাইতেরা জানান, সাধারণ ভক্তদের সামনে যাওয়ার সময়ে প্রত্যেকেই ‘মাস্ক’ ব্যবহার করছেন।
ভিড়িঙ্গি কালীবাড়িতে এ দিন বহু ভক্ত ভিড় জমান বলে জানান মন্দিরের প্রধান সেবাইত সাধনকুমার রায়। তিনি জানান, দশ জনের বেশি ভক্তকে মন্দিরের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মন্দিরে ঢুকতে হলে ‘মাস্ক’ পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার’ ও সাবানের। সাধনবাবু বলেন, ‘‘সোমবার দশহারা তিথি উপলক্ষে অনেকে ভিড় করেন। অনেকে লকডাউনের জেরে হালখাতা করতে পারেননি নির্দিষ্ট তিথিতে। এ দিন অনেকে হালখাতাও করেন।’’
পাশাপাশি, রেভারেন্ড রবীন্দ্রনাথ রায় জানান, এ দিন জীবাণুনাশক ছড়ানো হয়েছে রানিগঞ্জের ওয়েসলিয়ান মেথোডিস্ট গির্জায়। তবে, অণ্ডাল দক্ষিণবাজার এলাকার জামা মসজিদ ও মোতি মসজিদের ইমাম যথাক্রমে মহম্মদ সরফরাজ ও নুরুদ্দিন হাবিবি জানান, মসজিদ খোলা হয়নি। মসজিদ পরিচালন কমিটি মসজিদ খোলার সিদ্ধান্ত নিলে, নমাজ পড়ার জন্য বহিরাগতদের আবেদন জানানো হবে। মোতি মসজিদের সম্পাদক মহম্মদ সাকিল, জামা মসজিদের সম্পাদক হাজি মহম্মদ সামসুদ্দিন জানান, সরকারের নির্দেশিকা খতিয়ে দেখে মসজিদ খোলার দিন ঘোষণা করা হবে। জামুড়িয়া জামা মসজিদের ইমাম আব্দুল ওয়াহিদ জানান, ৮ জুন থেকে মসজিদ খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
রানিগঞ্জ গুরুদ্বার কমিটির সভাপতি হরজিৎ সিংহ জানান, গুরুদ্বারে সোমবার থেকেই জীবাণুনাশক ছড়ানো শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy