Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

চেম্বারে ‘নেই’ ডাক্তার, রোগীরা ক্ষুব্ধ রানিগঞ্জে

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, রানিগঞ্জে ওষুধের দোকানে বা নিজের বাড়িতে ১২০ জন ডাক্তারের ‘চেম্বার’ রয়েছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২০ ০২:৫০
Share: Save:

বেশির ভাগ ডাক্তারের ‘চেম্বার’ বন্ধ। পরিচিত রোগীরা ‘হোয়াটস অ্যাপ’-এ ডাক্তারের পরামর্শ পাচ্ছেন। কিন্তু অনেক রোগীই স্বাস্থ্য পরিষেবা পেতে সমস্যায় পড়ছেন। এমনই অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জে। ডাক্তারদের একাংশের দাবি, করোনা-পরিস্থিতি এ জন্য দায়ী।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, রানিগঞ্জে ওষুধের দোকানে বা নিজের বাড়িতে ১২০ জন ডাক্তারের ‘চেম্বার’ রয়েছে। বেশির ভাগ ডাক্তারেরই রামবাগান ও স্কুলপাড়ায় ‘চেম্বার’ রয়েছে। কিন্তু নানা কারণে অসুস্থদের অভিজ্ঞতা, গত ২২ মার্চ থেকে বেশির ভাগ ডাক্তারেরই দেখা মিলছে না। এলাকাবাসীর একাংশের অভিযোগ, ডাক্তারদের ফোন নম্বরে ফোন করলেই শুনতে হচ্ছে, হয় তাঁরা বাড়িতে নেই অথবা ব্যস্ত রয়েছেন। পরে আবার ফোন করলে উত্তরই মিলছে না।

ফলে, সাধারণ রোগের চিকিৎসার জন্যও ছুটতে হচ্ছে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা আসানসোল জেলা হাসাপতালে। কলেজপাড়ার সুভদ্রা পাসোয়ান বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার প্রচণ্ড জ্বর এসেছিল। বাধ্য হয়ে আলুগড়িয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হয়।’’ মঞ্জিত কোল নামে এক জন আবার জানান, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। ফলে, দু’দিন জ্বর না সারলেই সেখান থেকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার ‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে গাড়ি না মেলায়, অ্যাম্বুল্যান্সের সংখ্যা কম থাকায় বিপত্তি বাড়ছে। পাশাপাশি, শহরের নার্সিংহোমগুলি থেকেও জরুরি শল্য চিকিৎসা ছাড়া, অন্য কোনও পরিষেবা মিলছে না বলে অভিযোগ।

এই পরিস্থিতিতে নাক-কান-গলার রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অনির্বাণ ঘোষ দাবি করেন, ‘‘বাড়িতে নিয়মিত চেম্বার খুলছি। কিছু ক্ষেত্রে হোয়াটস অ্যাপে রোগীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি।’’ অণ্ডালের বাসিন্দা বুলু বাউড়ি জানান, তিনি গলায় টিউমারের সমস্যায় ভুগছেন। বর্তমানে ‘হোয়াটস অ্যাপ’ বার্তার মাধ্যমে চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন।

কিন্তু কেন এই হাল? ‘ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’-এর (আইএমএ) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সমরেন্দ্রকুমার বসুর দাবি, ‘‘স্বাস্থ্য দফতর থেকে প্রতিটি চিকিৎসককে জানানো হয়েছে, করোনা-পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে চিকিৎসা করতে হবে।’’ কিন্তু তাঁর অভিযোগ, ‘‘করোনা-চিকিৎসা করতে গেলে ‘পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট’ থাকা জরুরি। তা মিলছে না। মিলছে না ‘মাস্ক’-ও। তাই, অনেক ডাক্তারই ‘চেম্বার’-এ আসছেন না’’

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) দেবাশিস হালদারের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE