প্রতীকী ছবি
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বানে বাস পরিষেবা চালু করতে তাঁরা রাজি। তবে রাজ্য সরকার বাসকর্মীদের বেতন ও জ্বালানি তেলের দাম মিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেই বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিষেবা চালু করা সম্ভব, দাবি দুর্গাপুরের মিনিবাস মালিকদের। তাঁদের দাবি, এই প্রস্তাব ইতিমধ্যে রাজ্যের পরিবহণ দফতরে পাঠানো হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার এ বিষয়ে পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ‘ভিডিয়ো কনফারেন্স’-এর মাধ্যমে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তাঁরা জানান।
দুর্গাপুর মহকুমায় মোট ১৬টি রুটে প্রায় আড়াইশো মিনিবাস চলাচল করে। ‘লকডাউন’-এর জেরে পরিষেবা বন্ধ থাকায় মালিকদের পাশাপাশি, বিপাকে পড়েছেন হাজারেরও বেশি বাসকর্মী। পরিষেবা ফের চালু হলে সুবিধা হবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরাও। কিন্তু কম যাত্রী নিয়ে পুরনো ভাড়ায় বাস চালাতে হলে খরচ উঠবে না বলে মনে করছেন মিনিবাস মালিকেরা। তাঁরা জানান, প্রথম চার কিলোমিটার পর্যন্ত ১৫ টাকা এবং পরের প্রতি চার কিলোমিটারে পাঁচ টাকা হারে ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে পরিবহণ দফতরে। এ ছাড়া, রাজ্য সরকারের কাছে মিনিবাস চালানোর জ্বালানির খরচ এবং বাসকর্মীদের বেতনের ব্যবস্থা করার দাবিও জানানো হয়েছে।
মিনিবাস মালিকদের অন্যতম সংগঠন ‘দুর্গাপুর প্যাসেঞ্জার ক্যারিয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক কাজল দে জানান, পরিবহণ মন্ত্রী তাঁদের জানিয়ে দিয়েছেন, ভাড়া বাড়ানো যাবে না। দরকার হলে অন্য ভাবে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করবে। তাঁর কথায়, ‘‘লকডাউনের জেরে মানুষের রোজগার নেই। এই পরিস্থিতিতে ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানানোও সঙ্গত নয়। তবে যাতে মিনিবাস পরিষেবা চালু থাকে, সে জন্য সরকারের তরফে জ্বালানির খরচ ও বাসকর্মীদের বেতনের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।’’ তা না হলে আর্থিক দিক বিবেচনা করে পরিষেবা চালু রাখা সম্ভব হবে না বলে দাবি করেন তিনি।
মিনিবাস মালিকদের আরও দাবি, বাসের কর্মী ও চালকদের জন্য ‘মাস্ক’, ‘গ্লাভস’, ‘স্যানিটাইজ়ার’-এর ব্যবস্থা করবেন তাঁরা। বাসকর্মীদের রাজ্য সরকারের ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না, তা ও ভেবে দেখার প্রস্তাব রাখা হয়েছে বলে তাঁরা জানান। কাজলবাবু বলেন, ‘‘আমরা চাই, ২২ মে থেকে পরিষেবা চালু হোক। মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হলে তার পরে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।’’
আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক (দুর্গাপুর) মৃণাল দত্ত শুধু জানান, বাস মালিকদের যা দাবিদাওয়া রয়েছে, সে নিয়ে জেলা স্তরে আলোচনা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy