মাস দেড়েক আগেই বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। প্রথম জামাইষষ্ঠীতে শ্বশুরবাড়ি এসে স্ত্রী, শ্যালকদের নিয়ে ভাগীরথীতে স্নান করতে গিয়েছিলেন জামাই। তারপর থেকেই খোঁজ মিলছে না বত্রিশ বছরের ওই যুবক, মিথুন প্রামাণিকের। বুধবার দুপুরে পূর্বস্থলী ২ ব্লকের কোমলনগর ঘাটে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালিলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত হদিস মেলেনি দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার এলাকার ওই বাসিন্দার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৭ বৈশাখ এই ব্লকের মাজিদা পঞ্চায়েতের সিংহারি গ্রামের দেবিকা শীলের সঙ্গে বিয়ে হয় পেশায় ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার মিথুনবাবুর। মঙ্গলবার প্রথম জামাইষষ্ঠীতে মেয়ে-জামাইয়ের জন্য কোমর বেঁধে লেগে পড়েছিলেন দেবিকার বাবা সত্য প্রামাণিক। সে দিনের সব অনুষ্ঠান সেরে বুধবার তিন কিলোমিটার দূরের কোমলনগর ঘাটে স্নান কররতে যান মিথুন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী দেবিকা এবং তিন শ্যালক প্রীতম শীল, অরিন্দম শীল ও অনিকেশ শীল। আর্সেনিক মুক্ত প্ল্যান্ট লাগোয়া একটি ঘাটে স্নান করতে নামেন তাঁরা। সেখানে আচমকা পা হড়কে যায় মিথুনবাবুর। চোখের সামনেই তাঁকে তলিয়ে যেতে দেখেন কয়েকজন। জলে ঝাঁপিয়ে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টাও করেন কয়েকজন। কিন্তু কোনও হদিস মেলেনি মিথুনবাবুর। খবর দেওয়া হয় পুলিশ, প্রশাসনকে। পূর্বস্থলী ২-এর বিডিও কালনার মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়াকে বিষয়টি জানান। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে ডুবুরি আনান মহকুমাশাসক। নিজেও ঘটনাস্থলে যান। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও খোঁজ মেলেনি।
এ দিন দুপুর থেকে ঠায় ঘাটে দাঁড়িয়েছিলেন সত্যবাবু। তিনি বলেন, ‘‘হাসিখুশি ছেলেটা এই ক’দিনেই সবাইকে নিজের করে নিয়েছিল। অনেকেই এই ঘাটে স্নান করতে আসে। তাই আমরাও বাধা দিইনি। সব কিছু এ ভাবে ভেঙে যাবে ভাবিনি।’’ পড়শিরাও জানান, শুক্রবার ওদের দুর্গাপুর ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। দু’দিনেই সবার সঙ্গে মিশে গিয়েছিল নতুন জামাই। কী যে হয়ে গেল!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy