হুসেননগরে এই দুই মঞ্চ নিয়েই চাপানউতোর। নিজস্ব চিত্র
দু’টি মঞ্চ। দূরত্ব বড়জোর একশো মিটার। মঞ্চ তৈরি করেছেন যাঁরা, তাঁরা সকলেই তৃণমূলের নেতা, কর্মী! দু’পক্ষই এলাকার উন্নয়নের কথা বলে এলাকাবাসীকে অসুবিধা হলে তাঁদের দারস্থ হওয়ার আর্জি জানান। ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এই দুই মঞ্চ কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের অন্দরে। শুক্রবার রানিগঞ্জের হুসেননগরের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় রূপেশ যাদব, অলোক বসু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়েরা একটি মঞ্চ থেকে এলাকায় উন্নয়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন। সেই মঞ্চ থেকেই তাঁরা এলাকাবাসীকে আর্জি জানান, কোনও সমস্যা হলে তাঁদের কাছে আর্জি জানাতে। রূপেশবাবু তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। ওই মঞ্চ থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে তৈরি হয়েছিল আরও একটি মঞ্চ। সেখানে ছিলেন স্থানীয় এলাকার কাউন্সিলর সীমা সিংহ। ছিলেন, তৃণমূল নেতা তৌফিক আলম, মইম খান, গোপাল আচার্য প্রমুখেরা। ওই মঞ্চ থেকে সীমাদেবীরা দাবি করেন, এলাকায় উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে। তার পরেও কোনও অসুবিধা হলে এলাকাবাসী যেন তাঁদের জানান। সেই সঙ্গে তাঁরা জানান, এলাকায় নিকাশি সমস্যা দীর্ঘ দিনের। সম্প্রতি নালা তৈরির জন্য আট কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
কিন্তু এই জোড়া মঞ্চ? এলাকাবাসীর দাবি, দুই মঞ্চে থাকা নেতৃত্ব পরস্পরের বিরোধী বলে দলের অন্দরে পরিচিত। তৌফিকও বলেন, ‘‘আমাদের সভা ভেস্তে দিতেই অলোকবাবুরা একশো মিটার দূরত্বে সভার আয়োজন করেন।’’ তৃণমূলের রানিগঞ্জ শহরের প্রাক্তন সভাপতি অলোকবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘আগেভাগেই আমাদের কর্মসূচি ঠিক ছিল। সীমাদেবীরা আমাদের কর্মসূচি ভণ্ডুল করার জন্য অন্য মঞ্চ খাটিয়েছিলেন।’’ বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি ভি শিবদাসনের বক্তব্য, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখছি। কোনও রকম বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy