তাঁকে না জানিয়ে গত সপ্তাহে বিভাগে দু’জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। এর পরেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের প্রধান অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতে চেয়ে চিঠি দিলেন কর্তৃপক্ষকে। বাংলা বিভাগের প্রধান অরিন্দমবাবু আরবি বিভাগের বাড়তি দায়িত্বে ছিলেন। গোটা বিষয়টি নিয়ে অবশ্য অরিন্দমবাবু বা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তোফাজ্জল হোসেন কিছু বলতে চাননি।
সম্প্রতি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি বিভাগ চালু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রে জানা যায়, বিতর্কের সূত্রপাত ওই বিভাগের দু’জন শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে। বিভাগীয় প্রধানকে অন্ধকারে রেখেই গত সপ্তাহে আরবি বিভাগে দু’জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। অরিন্দমবাবুর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা যায়, বিষয়টিতে তিনি মর্মাহত হয়েছেন।
বুধবার বিকেলে অরিন্দমবাবু বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে ‘পিওন বুক’-এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রারের কাছে চিঠি পাঠান। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় ‘অপমানিত’ বোধ করেছেন। এ ছাড়া ব্যক্তিগত কারণেও তাঁর পক্ষে আরবি বিভাগের বাড়তি দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয়। তবে বৃহস্পতিবার তিনি আরবি বিভাগের পড়ুয়াদের মৌখিক পরীক্ষা নিয়েছেন। পরীক্ষা শেষে তিনি শুধু বলেন, ‘‘যা বলার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলেছি।’’
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানান, আরবি ভাষার শিক্ষক নিয়োগে বেআইনি কিছু হয়নি। নিয়ম মেনে নিয়োগ কমিটি গড়া হয়েছিল। সেই কমিটিতে আচার্য, উপাচার্যের প্রতিনিধি, কলা বিভাগের ডিন ও রেজিস্ট্রার ছিলেন। তাঁরাই আরবি ভাষার দু’জন শিক্ষক নিয়োগ করেছিলেন। কর্তৃপক্ষের আরও দাবি, আরবি বিভাগে প্রধান কেউ নেই। বিভাগটি চালানোর জন্য অরিন্দমবাবুকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। অরিন্দমবাবুর পদত্যাগ প্রসঙ্গে রেজিস্ট্রার তোফাজ্জল হোসেনের বক্তব্য, ‘‘এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন দেখা উচিত, আবেগ নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy