Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

টিভি খুলতেই ভেসে উঠল নাম, অবাক দীপায়ন

সকাল-সকাল পরীক্ষার ফলের খবর জানতে টিভি-র সামনে বসে পড়েছিলেন বারাবনির পাঁচগাছিয়ার দীপায়ন বিশ্বাস। মেধাতালিকায় ঠাঁই পেল কারা, তা দেখে নিয়ে ইন্টারনেটে নিজের ফল জানতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্তু শেষমেশ আর ইন্টারনেটে ফল জানতে হয়নি। টিভির পর্দায় নিজের নামটা ভেসে উঠতে দেখে চোখ ছানাবড়া দীপায়নের।

বাবার সঙ্গে দীপায়ন।

বাবার সঙ্গে দীপায়ন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান ও আসানসোল শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৫ ০১:৫১
Share: Save:

সকাল-সকাল পরীক্ষার ফলের খবর জানতে টিভি-র সামনে বসে পড়েছিলেন বারাবনির পাঁচগাছিয়ার দীপায়ন বিশ্বাস। মেধাতালিকায় ঠাঁই পেল কারা, তা দেখে নিয়ে ইন্টারনেটে নিজের ফল জানতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্তু শেষমেশ আর ইন্টারনেটে ফল জানতে হয়নি। টিভির পর্দায় নিজের নামটা ভেসে উঠতে দেখে চোখ ছানাবড়া দীপায়নের।

পাঁচগাছিয়া মনোহরবহাল বিবেকানন্দ বিদ্যায়তনের ছাত্র দীপায়ন এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে ষষ্ঠ স্থান পেয়েছে। প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৫। শুধু সে নয়, শুক্রবার এই পরীক্ষায় যে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে প্রথম দশে রয়েছে জেলার আরও দুই ছাত্র, বর্ধমান টাউন স্কুলের জয়জিৎ পাল ও মেমারি বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দিরের শঙ্খদীপ ঘোষ। ৪৮১ নম্বর পেয়ে দশম স্থানে রয়েছে তারা দু’জনেই।

জয়জিৎ ও শঙ্খদীপ।

বারাবনির দীপায়ন জানায়, সামান্য হলেও আশা ছিল, মেধাতালিকায় স্থান হতে পারে। কিন্তু তা সত্যি হওয়ার পরে যেন বিশ্বাসই হচ্ছে না। খবর জানার পরে উৎসবের মেজাজ আসানসোলের সেনর‌্যালে ডি ব্লকের আবাসন এলাকায়। ছেলের সাফল্যে খুশি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক দিলীপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘‘পুরো ব্যাপারটাই কেমন স্বপ্নের মতো লাগছে।’’ দীপায়ন বলে, ‘‘আমি কম্প্যুটার সায়েন্স নিয়ে পড়তে চাই। জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলের দিকে তাকিয়ে আছি।’’

বর্ধমানের বড়নীলপুর আচার্যপল্লির বাসিন্দা জয়জিতেরও চোখ এখন জয়েন্টের ফলে। সে ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়। তার বাবা সুরজিৎ পাল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী। জয়জিৎ জানায়, মনোসংযোগে যাতে চিড় না ধরে সে জন্য গত চার বছর ধরে সে টেলিভিশন দেখে না। মা মঞ্জুদেবী পড়ায় সাহায্য করতেন বলে জানায় সে।

শঙ্খদীপের বাড়ি মেমারির সুকান্তনগরে। তার বাবা প্রদীপবাবু মেমারি বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দিরের ইউনিট ২-এর উদ্ভিদবিদ্যার শিক্ষক। সেই স্কুলেরই ছাত্র শঙ্খদীপ। ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চাওয়া শঙ্খদীপ ইন্টারনেট থেকে নানা বিষয়ের খোঁজখবর রাখতে পছন্দ করে সে। ফুটবল খেলতেও ভালবাসে। গৃহবধূ। স্কুলের জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষক বিশ্বজিৎ মণ্ডল, অঙ্কের শিক্ষক সত্যনারায়ণ পাত্রেরা সহযোগিতা করেছেন বলে জানান বাবা প্রদীপবাবু ও মা শ্রাবণীদেবী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE