Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বারবার বিতর্কে প্রশ্নে প্রতিবন্ধী স্কুলের নিরাপত্তা

প্রতিবন্ধী কল্যাণ কেন্দ্রের হস্টেলে থাকা দুই মূক ও বধির কিশোরী কেন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল, ২৪ ঘণ্টা পরেও তার কারণ খুঁজে পায়নি প্রশাসন।

বৈদ্যপুরের স্কুল। নিজস্ব চিত্র

বৈদ্যপুরের স্কুল। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:২৮
Share: Save:

প্রতিবন্ধী কল্যাণ কেন্দ্রের হস্টেলে থাকা দুই মূক ও বধির কিশোরী কেন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল, ২৪ ঘণ্টা পরেও তার কারণ খুঁজে পায়নি প্রশাসন। বরং সামনে এসেছে কালনা ২ ব্লকের বৈদ্যপুর বিকাশ ভারতী প্রতিবন্ধী স্কুলের আরও নানা গোলমালের খবর। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও অভিযোগ, নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। আগেও বিতর্কের মুখে পড়েছে এই স্কুল।

আবাসিক এই স্কুলটির পাশে ছেলে এবং মেয়েদের জন্য আলাদা থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। পড়াশোনার পাশপাশি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের শেখানো হয় হাতের কাজও। বৃহস্পতিবার হস্টেলের একটি ঘরে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্রী। এক জনের বাড়ি পূর্বস্থলী। অন্য জন ব্যান্ডেলের বাসিন্দা। পূর্বস্থলীর ছাত্রীটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কলকাতার একটি হাসপাতালে পাঠানো হয় রাতেই। ব্যান্ডেলের ছাত্রীটিকে শুক্রবার মহকুমা হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাস দুয়েক আগেই এই স্কুল থেকে পাঁচ ছাত্রী পালানোর চেষ্টা করে। মাঝপথ থেকে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। বছর দেড়েক আগেও দুই ছাত্রী স্কুল থেকে পালিয়ে এসে কালনা স্টেশনে ট্রেন ধরার চেষ্টা করে। কালনা শহরের এক বাসিন্দা তাদের উদ্ধার করে নিজের বাড়িতে রাখেন। পরে তিনি ওই দুই ছাত্রীকে স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ২০০৩ সালে এই স্কুলের এক ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এই ঘটনার পরেও প্রশ্ন উঠেছে, হস্টেলে কোনও রকম নির্যাতনের শিকার হতে হয় কি না, ছাত্রীরা কোনও কারণে হতাশায় ভুগছিল কি না। যদিও উত্তর মেলেনি কোনওটারই।

হস্টেল সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ওই দু’জন স্কুলে যায়নি। সকাল থেকেই মনমরা ছিল। যদিও হস্টেলের মেট্রন লিপিকা চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘দু’জনে দীর্ঘদিনের বন্ধু। নানা কর্মসূচিতেও যোগ দেয়। এ বার প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানেও ওদের যোগ দেওয়ার কথা ছিল।’’ ওই দু’জনের পরিবারও এ নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি। প্রশাসনের কাছেও কোনও লিখিত অভিযোগ জানাননি তাঁরা।

তবে কালনার মহকুমাশাসক নীতিশ ঢালি এবং কালনা ২-এর বিডিও মিলন দেবগড়িয়া এ দিন স্কুলটি পরিদর্শনে যান। মূক ও বধির ছাত্রীদের সঙ্গে কথোপকথন চালাতে মুশকিলে পড়তে হয় তাঁদের। মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘বাকি ছাত্রীরা যাতে ঘটনার পরে আতঙ্কিত হয়ে না পড়ে সে বিষয়টি দেখা হয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে ভ্রমণ-সহ নানা অনুষ্ঠানে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে যাওয়া।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Suicide School Security
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE