জল মিলল না কলে। নিজস্ব চিত্র
জলের লাইন কেটে দেওয়ায় সকাল থেকে জল মেলেনি। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন আসানসোল আদালত লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান। প্রতিবাদে সারাদিন দোকানপাটও বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা। অবিলম্বে কলগুলিতে জলের সংযোগ ফেরানোর দাবি তোলেন তাঁরা। পুরসভার কর্তাদের অবশ্য দাবি, এলাকায় অবৈধ জলের সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পুরসভার এই ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তায় প্রায় পাঁচটি কলে জলের সংযোগ ছিন্ন করা হয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এ দিন সকালে তাঁরা পানীয় জল নিতে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারেন। প্রথমে ভেবেছিলেন, কোনও কারণে জল সরবরাহ হচ্ছে না। কিন্তু পরে জানা যায়, সংযোগই কেটে দেওয়া হয়েছে। এর পরেই বাসিন্দারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
এলাকায় বেশ কিছু দোকান ও হোটেল এই সব কল থেকেই প্রতিদিন জল নেয়। কিন্তু এ দিন তারা বিপাকে পড়ে যায়। সকলেই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে। স্থানীয় বাসিন্দা রবিন দে বলেন, ‘‘আমরা এই কলগুলি থেকে প্রায় ৪০ বছর ধরে জল পাই। রাতারাতি জল বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়ে গিয়েছি।’’ দোকান মালিক অমর দত্তের কথায়, ‘‘এত দিন এই কল থেকেই জল নিয়েছি। কিন্তু সংযোগ ছিন্ন করায় দোকান বন্ধ রাখতে হবে।’’
রাতারাতি জলের সংযোগ ছিন্ন করা হল কেন? পুরসভার জল দফতরের মেয়র পারিষদ পূর্ণশশী রায় বলেন, ‘‘ওই কলগুলি অবৈধ ভাবে তৈরি হয়েছিল। তাই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। শহরে কোনও অবৈধ জলের সংযোগ রাখা হবে না।’’ তাঁর দাবি, সংযোগ ছিন্ন করায় যাঁরা বিপাকে পড়েছেন তাঁরা পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করলে ন্যূনতম টাকায় লাইনগুলি বৈধ করে দেওয়া হবে।
বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা অবশ্য প্রশ্ন তোলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে কলগুলি থেকে জল মেলে। সেগুলি হঠাৎ অবৈধ হয়ে গেল কী ভাবে? যদি অবৈধ হয়েও থাকে তবে সংযোগ কাটার আগে বাসিন্দাদের জানানো হল না কেন? সেক্ষেত্রে গরমে এই মুশকিলে পড়তে হতো না বলে বাসিন্দাদের দাবি। এ বিষয়ে পুর কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও সদুত্তর মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy