Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

করোনায় আক্রান্ত ডাক্তার, পদক্ষেপ

মহকুমাশাসক অনির্বাণবাবু বলেন, ‘‘হাসপাতালের এক ডাক্তারের লালারসের নমুনা-রিপোর্ট ‘কোভিড পজ়িটিভ’ আসার পরে, তাঁর সংস্পর্শে কারা এসেছেন সেই তালিকা তৈরি করার কাজ চলছে ও নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’

দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল। নিজস্ব চিত্র

দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২০ ০০:২২
Share: Save:

মহকুমা হাসপাতালের এক ডাক্তারের লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট ‘কোভিড পজ়িটিভ’ এসেছে, জানিয়েছেন মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) অনির্বাণ কোলে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, বিজেপির অভিযোগ, ‘অসুস্থ অবস্থা’য় ওই ডাক্তার হাসপাতালে চিকিৎসা করতে বাধ্য হয়েছেন। ফলে, সমস্যা বেড়েছে।

মহকুমাশাসক অনির্বাণবাবু বলেন, ‘‘হাসপাতালের এক ডাক্তারের লালারসের নমুনা-রিপোর্ট ‘কোভিড পজ়িটিভ’ আসার পরে, তাঁর সংস্পর্শে কারা এসেছেন সেই তালিকা তৈরি করার কাজ চলছে ও নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’ হাসপাতালের সুপার দেবব্রত দাস বলেন, ‘‘ওই ডাক্তারের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট ‘কোভিড পজ়িটিভ’ আসার পরে, তাঁকে কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’ সুপার জানান, হাসপাতালের ৩০-৪০ জন ওই ডাক্তারের সংস্পর্শে এসেছেন। ওই ডাক্তারের সংস্পর্শে আসা হাসপাতালের অন্য ডাক্তার, নার্স, কর্মীদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, রাজ্যে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরে থেকে প্রতি দিন বিকেলে হাসপাতাল জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলে। সে ভাবেই এ দিনও হাসপাতাল জীবাণুমুক্ত করা হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৪ জুলাই ওই ডাক্তারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মঙ্গলবার তাঁর রিপোর্ট আসে। এই মাঝের সময়ে ওই ডাক্তার হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা করলেন কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দুর্গাপুরের বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘ওই ডাক্তার অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা করেছেন। এটা ঠিক নয়। হাসপাতাল সুপার সব জেনেও তাঁকে হাসপাতালে পরিষেবা দিতে বাধ্য করেছেন।’’ সুপারের পদত্যাগও দাবি করেছেন তিনি। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুপার। তিনি আরও জানান, ডাক্তারের সংস্পর্শে আসা রোগীদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। রোগীদের তালিকা তৈরির পরে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।

পাশাপাশি, এ দিন বহির্বিভাগ বন্ধ থাকায় বাইরে থেকে আসা রোগীরা বিপাকে পড়েন। অসুস্থ শিশুকে কোলে নিয়ে মায়ের সঙ্গে এসেছিলেন বেনাচিতির সুমনা গড়াই। তিনি বলেন, ‘‘মিনিবাস কম চলছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পরে মিনিবাস ধরে হাসপাতালে আসি। তার পরে শুনি, এক ডাক্তার করোনা-আক্রান্ত। বহির্বিভাগ বন্ধ। এখন আবার ফিরে যেতে হবে। মিনিবাস পেতে ফের দেরি হবে। চূড়ান্ত ভোগান্তি হল।’’ একই ভাবে হাসপাতালে এসে পরিষেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হয় কমলপুর এলাকার কৃষ্ণা নায়ক, কাঁকসার তাপসী মাড্ডিদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Doctor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE