টোল আদায়ের নামে গাড়ির চালকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও মারধরের অভিযোগ উঠল পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানায় রূপনারায়ণপুর চেকপোস্টে। প্রতিবাদে প্রায় দু’ঘণ্টা রূপনারায়ণপুর-জামতাড়া রোড অবরোধ করা হয়। পরে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার মহকুমাশাসক ও বিধায়ক এবং রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিশ ও সালানপুর পঞ্চয়েত সমিতির সভাপতি এলাকায় যান। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলে অবরোধ ওঠে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ একটি গাড়ি রূপনারায়ণপুর চেকপোস্ট পেরিয়ে আসানসোলের দিকে আসার সময়ে সেখানে টোল আদায়কারী কর্মীরা চালকের কাছে টোল চান। ওই গাড়িতে জামতাড়ার একটি পরিবারের সদস্যেরা ছিলেন। গাড়ির চালক টোল বাবদ দশ টাকা দেন। অভিযোগ, এর পরেই টোল আদায়কারীরা গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু চালক জানিয়ে দেন, গাড়ির কাগজ দেখার অধিকার তাঁদের নেই। গাড়ির আরোহী মরিয়াম বিবির অভিযোগ, ‘‘এ কথা শোনার পরেই টোল আদায়কারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে চালককে মারধর শুরু করে। আমি গাড়ি থেকে নেমে বাধা দিতে গেলে আমার সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করা হয়।’’
গাড়ির আরোহীরা জানান, এমন চলতে থাকায় তাঁরা গোটা বিষয়টি ফোনে জামতাড়ার বিধায়ককে জানান। খানিক পরেই বিধায়ক ইরফান আনসারি ঘটনাস্থলে আসেন। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছন জামতাড়ার মহকুমাশাসক নবীন কুমার, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামল মজুমদার। চলে আসে রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিশও। সব পক্ষ বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত হয়, ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর পরে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ অবরোধ ওঠে যায়।
রূপনারায়ণপুরের ওই চেকপোস্টটির টোল আদায়ের দায়িত্বে রয়েছে বর্ধমান জেলা পরিষদ। টোল আদায়ের বরাত পেয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, এখানকার কর্মীরা কাগজপত্র দেখতে চেয়ে গাড়ির চালকদের হয়রান করেন। নানা অছিলায় চালকদের কাছ থেকে টাকাও আদায় করেন বলে অভিযোগ। আসানসোলের মহকুমাশাসক অমিতাভ দাস বলেন, ‘‘টোল আদায়কারীদের গাড়ির কাগজ পরীক্ষা করার এক্তিয়ার নেই। এই কাজের জন্য পরিবহণ দফতর ও পুলিশ রয়েছে।’’ তিনি জানান, এ দিন কী ভাবে ওই ঘটনা ঘটেছে তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামল মজুমদার জানান, এই চেকপোস্টে টোল আদায় নিয়ে এই ধরনের অভিযোগ আগেও উঠেছে। টোল আদায়ে নিযুক্ত সংস্থাটিকে তাদের কর্মীদের সতর্ক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy