Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ডিএসপি-র আবাসন লিজ কী ভাবে, প্রশ্ন দুর্গাপুরে

শনিবার ডিএসপি-র সিইও একে রথের সঙ্গে সিটু, আইএনটিইউসি, বিএমএস, এআইটিইউসি-সহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসেন। ডিএসপি-র ফাঁকা আবাসন ও জমি লিজ, লাইসেন্সের দাবিতে বেশ কয়েক বছর ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছে শ্রমিক সংগঠনগুলি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৮ ০১:২৪
Share: Save:

আবাসন ‘লিজ’ ও ‘লাইসেন্স’ দিতে ফের চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট (ডিএসপি)। তবে কবে থেকে, কী শর্তে এই প্রক্রিয়া হবে, তা জানা যায়নি।

শনিবার ডিএসপি-র সিইও একে রথের সঙ্গে সিটু, আইএনটিইউসি, বিএমএস, এআইটিইউসি-সহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসেন। ডিএসপি-র ফাঁকা আবাসন ও জমি লিজ, লাইসেন্সের দাবিতে বেশ কয়েক বছর ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। বৈঠকে ডিএসপি টাউনশিপের আবাসন সংক্রান্ত বর্তমান পরিস্থিতি প্রজেক্টরের মাধ্যমে জানানো হয়। অতীতে এই প্রক্রিয়ায় কী কী সমস্যায় পড়তে হয়েছে তা-ও জানান কর্তৃপক্ষ। শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অবশ্য জানান, তাঁরা দাবি জানিয়েছেন, সমস্যার সমাধান করে ফের নতুন করে আবাসন লিজ ও লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু করতে হবে।

সিটু-র দাবি, আবাসন বিলি নিয়ে কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে অনমনীয় মনোভাব নিয়েছিলেন। বৈঠকে সেই অচলাবস্থা কাটার ইঙ্গিত মিলেছে। ডিএসপি-র সিটু নেতা বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোয়ার্টার লিজ বা লাইসেন্স প্রক্রিয়া চালুর বিষয়ে ডিএসপি কর্তৃপক্ষ বৈঠকে কোনও সুনির্দিষ্ট আশ্বাস দেননি। তাই যতক্ষণ না প্রক্রিয়া ফের শুরু হচ্ছে, কিছু বলা মুশকিল। কারণ, ডিএসপি কর্তৃপক্ষের মনোভাব ঘন ঘন বদলায়।’’ বিএমএস নেতা অরূপ রায় বলেন, ‘‘কোয়ার্টার লিজ ও লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন ডিএসপি কর্তৃপক্ষ। শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আগামী বৈঠকে অগ্রগতির কথা জানাবেন বলে সিইও জানিয়েছেন।’’

ডিএসপি সূত্রে জানা গিয়েছে, টাউনশিপে মোট আবাসনের সংখ্যা ১৯১৪৪। সংস্থার প্রাক্তন শ্রমিক-কর্মীদের নির্দি‌ষ্ট অর্থের বিনিময়ে আবাসন লিজ বা লাইসেন্স দেওয়া হয়। ১৯৯৯-এ প্রথম বার সেই প্রক্রিয়া চালু হয়। ২০০৮-এ ফের কিছু আবাসন বিলি করা হয়। দু’বারে মোট ২৮৯৬ টি আবাসন প্রাক্তন শ্রমিক-কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শেষ বার ২০১৫ সালে আবাসনের লাইসেন্স দেওয়া হয়। সে বার ৯১৩টি আবাসন বিলি করা হয়। বর্তমানে ৯২৫টি আবাসনে প্রাক্তন শ্রমিক-কর্মী ও তাঁদের পরিবারের লোকজন বসবাস করেন। তাঁরা আবাসনগুলির লিজ বা লাইসেন্স পাওয়ার আশায় রয়েছেন।

তবে ডিএসপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে ৪৭১টি আবাসন জবরদখল হয়ে রয়েছে। বেআইনি ভাবে ডিএসপি-র জল ও বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে সেই সব আবাসনে। ফলে ক্ষতি হচ্ছে।

শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি, কী শর্তে ও কবে থেকে এই লিজ দেওয়া হবে, তা নির্দিষ্ট করা জানাক ডিএসপি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE