দুর্ঘটনায় দুমড়ে গিয়েছে গাড়িটি। —নিজস্ব চিত্র
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা ট্রেলারের পিছনে গাড়ি ধাক্কা দেওয়ায় মৃত্যু হল দুই মহিলার। গাড়ির বাকি তিন আরোহী জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে দুর্গাপুরের কাদা রোড সংলগ্ন গ্যামন কলোনির কাছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিএসপি টাউনশিপে একটি অনুষ্ঠান শেষে গাড়িতে বাড়ি ফিরছিলেন এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পাঁচ সদস্য। তাঁদের সবার বাড়ি দুর্গাপুরের গোপালমাঠে। রাত ১০টা নাগাদ গ্যামন কলোনির কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা একটি ট্রেলারের পিছনে। দুমড়ে-মুচড়ে যায় গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চন্দনা শ্যাম (৫৫) ও ডলি বাদ্যকরের (৩৫)। জখম কালীসাধন গড়াই, বিধানচন্দ্র দাস ও টুম্পা বাদ্যকরকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে কালীসাধনবাবুকে বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বুধবার এলাকায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মৃতেরা নানা সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁরা দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের কর্মী কালীসাধনবাবুর একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। কালীসাধনবাবু নানা সামাজিক কাজকর্মের পাশাপাশি পর্বতারোহী সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত। সম্প্রতি আরও ছ’জনের সঙ্গে দুর্গাপুর থেকে হিমালয় পরিষ্কার ও সবুজ রাখার বার্তা নিয়ে মানালি শৃঙ্গ অভিযানে গিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার বাড়ি ফেরেন। সন্ধ্যায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাজে বাকিদের নিয়ে বেরিয়েছিলেন তিনি। তাঁর ভাগ্নী মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মামা নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। মেনগেট থেকে বনগ্রাম পর্যন্ত জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোডের বেহাল দশা। তার উপরে রাস্তার পাশে ট্রাক, ট্রেলার দাঁড়িয়ে থাকে। অন্ধকারে বোঝা যায় না।’’
পুলিশ জানায়, জাতীয় সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা ট্রাক, ট্রেলারের বিরুদ্ধে মাঝে-মাঝেই অভিযান হয়। ফের অভিযান চালানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy