প্রতীকী ছবি।
কর্নিয়া সংগ্রহে রাজ্যে ফের দ্বিতীয় হল দুর্গাপুর। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলে বলেন, ‘‘চক্ষুদানের উপরে ধারাবাহিক ভাবে সচেতনতা তৈরির কাজ করে থাকে দুর্গাপুর ব্লাইন্ড রিলিফ সোসাইটি। তাই বছর-বছর কর্নিয়া সংগ্রহের পরিমাণ বাড়ছে দুর্গাপুরে।’’
বছরভর নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ওই সংগঠন দুর্গাপুর ও লাগোয়া এলাকায় মরণোত্তর চক্ষুদানের বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালায়। সংগঠনের তরফে কাজল রায় জানান, শুধু সংস্থার নিজের নয়, অন্য ক্লাব বা সংস্থাও চক্ষুদান নিয়ে সচেতনতায় কোনও অনুষ্ঠান করলে সোসাইটির তরফে সহযোগিতা করা হয়। গত বছর সংগঠনের তরফে ১৯২টি কর্নিয়া সংগ্রহ করা হয়েছিল। মিলেছিল রাজ্যের দ্বিতীয় সেরার পুরস্কার। এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ২৮৯টি। এ বারও দ্বিতীয়ের পুরস্কারই ঘরে এসেছে। সম্প্রতি ‘ইন্টারন্যাশনাল আই ব্যাঙ্ক’-এর তরফে সংস্থার হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া হয়।
‘দুর্গাপুর ব্লাইন্ড রিলিফ সোসাইটি’ এবং দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যৌথ ভাবে ২০০৫ সালে দুর্গাপুরে ‘আই ব্যাঙ্ক’ গড়ে তোলে। কলকাতার বাইরে থাকা আই ব্যাঙ্কগুলি কত কর্নিয়া সংগ্রহ করতে পেরেছে, তা বিচার করে দেখে ইন্টারন্যাশনাল আই ব্যাঙ্ক। সাধারণত প্রতি বছর ১ মে ফলাফল প্রকাশ হয়। গত বছর মোট ৫৯৭টি কর্নিয়া সংগ্রহ করে রাজ্যে প্রথম হয় শ্রীরামপুর। এ বারও প্রথম স্থানে রয়েছে শ্রীরামপুরই।
‘দুর্গাপুর ব্লাইন্ড রিলিফ সোসাইটি’ গত তিন দশক ধরে মরণোত্তর চক্ষুদান নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার কাজ করে চলেছে। সংস্থার সদস্যেরা জানান, গোড়ায় মৃতের পরিজনকে বুঝিয়ে কর্নিয়া সংগ্রহ সহজ ছিল না। নানা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখিও হতে হয়েছে। তবে ধারাবাহিক প্রচারে পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। এগিয়ে এসেছে দুর্গাপুর পুরসভাও। মরণোত্তর চক্ষুদানে মৃতের পরিবার একটি শংসাপত্র পায়। তাতে বিনামূল্যে বীরভানপুর শ্মশানে দাহ করার সুযোগ মেলে। শুধু দুর্গাপুর নয়, পার্শ্ববর্তী বাঁকুড়া, বীরভূমের মতো নানা জেলাতেও এখন চক্ষুদানে সচেতনতা গড়ার কাজ তারা শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ওই সংগঠন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy