প্রতীকী ছবি।
ভোটের ঠিক এক মাসের মাথায় পুরবোর্ড গঠনের প্রক্রিয় সম্পূর্ণ হল দুর্গাপুরে। নতুন মেয়র ও চেয়ারম্যান আগেই শপথ নিয়েছিলেন। বুধবার ডেপুটি মেয়র এবং মেয়র পারিষদ পদে শপথ নেন কাউন্সিলররা। এ দিন থেকে কাজ শুরু করল নতুন পুরবোর্ড।
এ বার পুরভোটে ৪৩টি ওয়ার্ডের সব ক’টিতেই জিতেছে তৃণমূল। ১৭ অগস্ট ফল বেরোয়। ৬ সেপ্টেম্বর মেয়র পদে শপথ নেন ভোটের ঠিক আগে তৃণমূলে যোগ দেওয়া, রাজ্যের প্রাক্তন আমলা দিলীপ অগস্তি। চেয়ারম্যান হন প্রবীণ কাউন্সিলর মৃগেন্দ্রনাথ পাল। সে দিন বিকেলে ডেপুটি মেয়র হিসেবে দু’বারের কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করা হয়। জানানো হয় ৯ জন মেয়র পারিষদের নামও। কিন্তু কে কোন দফতর পাবেন, তা ঘোষণা করা হয়নি। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে মেয়র দিলীপবাবু কাজ শুরু করলেও মেয়র পারিষদদের দফতর বন্টন না হওয়ায় পুরসভার কাজ পুরোদমে চালু হয়নি। অবশেষে বুধবার মেয়র পারিষদদের দফতর বণ্টন হল।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিকল্পনা, উন্নয়ন, অর্থ, লাইসেন্স ও পূর্ত দফতরের একাংশ থাকছে মেয়রের নিজের হাতে। বিজ্ঞাপন, পার্কিং, বিপিএল-সহ বেশ কিছু দফতর দেখাশোনা করবেন ডেপুটি মেয়র। সড়ক, খাদ্য সরবরাহ ও সমাজকল্যাণ দফতরের মেয়র পারিষদ করা হয়েছে প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গত পুরবোর্ডে শেষ দিকে বছরখানেক জল সরবরাহ দফতরের দায়িত্বে ছিলেন অমিতাভবাবু। এ বার সেই দফতরের ভার পেলেন নতুন কাউন্সিলর তথা দলের কার্যকরী সভাপতি পবিত্র চট্টোপাধ্যায়। গত বোর্ডে পূর্ত দফতরের দায়িত্বে ছিলেন প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। এ বার তিনি পেলেন নিকাশি, পরিবেশ ও পাম্পিং স্টেশন। আগের বার শিক্ষা ও অনগ্রসর উন্নয়ন দফতরের দায়িত্বে ছিলেন মানি সোরেন। এ বার পেয়েছেন পার্ক এবং যুব ও ক্রীড়া দফতর।
যাঁরা প্রথম বার মেয়র পারিষদ হয়েছেন তাঁদের মধ্যে রাখি তিওয়ারি স্বাস্থ্য, অঙ্গনওয়াড়ির দায়িত্ব পেয়েছেন। আলো, বিদ্যুৎ ও অচিরাচরিত শক্তির দায়িত্বে ধর্মেন্দ্র যাদব। সংখ্যালঘু উন্নয়নে নিজাম হোসেন মণ্ডল। শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে অঙ্কিতা চৌধুরী এবং বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ও বস্তি উন্নয়নের দায়িত্ব পেলেন রুমা পাড়িয়াল। চিফ হুইফ করা হয়েছে স্বরূপ মুখোপাধ্যায়কে।
এ বার দুর্গাপুরকে মডেল শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে, আশ্বাস দিয়ে এসেছেন তৃণমূল নেতারা। তাঁদের দাবি, সেই লক্ষ্যে পুরসভার কাজে গতি আনতে পূর্ত-সহ একাধিক দফতর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। গত বোর্ডের থেকে বেশি দু’জনকে মেয়র পারিষদ করা হয়েছে। দলের একাংশের আবার মত, বিভিন্ন দফতরের মধ্যে নিবিড় সমন্বয় জরুরি। তা না হলে কাজে ঢিলেমি হবে। ব্যাহত হবে উন্নয়নের প্রক্রিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy