Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

খনিতে ঢুকতে নদীর দিকে সুড়ঙ্গ, নালিশ ইসিএলের

নদীর পাড়ের দিক থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে খনিতে ঢোকার পথ করেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই পথ ধরে চুরি করা হয়েছে বহু কয়লা। সেই সঙ্গে নদীর জল ঢুকে বিপন্ন হচ্ছে কয়লা। তাই পাথর, মাটি, কংক্রিট দিয়ে সুড়ঙ্গের মুখ বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি ইসিএলের।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৭ ০২:২৭
Share: Save:

নদীর পাড়ের দিক থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে খনিতে ঢোকার পথ করেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই পথ ধরে চুরি করা হয়েছে বহু কয়লা। সেই সঙ্গে নদীর জল ঢুকে বিপন্ন হচ্ছে কয়লা। তাই পাথর, মাটি, কংক্রিট দিয়ে সুড়ঙ্গের মুখ বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি ইসিএলের। আসানসোলে নুনিয়া নদী ভরাটের চেষ্টা করছে ইসিএল, অভিযোগ করেছিলেন এলাকার কিছু বাসিন্দা। তারই প্রেক্ষিতে খনি কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, নদী ভরাট নয়, খনি বাঁচাতে সুড়ঙ্গ বুজিয়েছেন তাঁরা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে।

বছরখানেক আগে ইসিএলের শ্রীপুর এরিয়ার ভানোড়ায় নতুন একটি খোলামুখ খনি চালু করে ইসিএল। খনির খুব কাছ দিয়ে গিয়েছে নুনিয়া নদী। ইসিএলের শ্রীপুর এরিয়ার জিএম শিউপূজন ঠাকুর জানান, নদী ও খনির মাঝে শতাধিক অবৈধ খাদান বানিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গ করে মাটির তলা দিয়ে তারা খনিতে ঢুকে কয়লা চুরিও করছিল। ফলে, এক দিকে যেমন সরকারি সম্পত্তি লুঠ হচ্ছিল, তেমনই সুড়ঙ্গপথে নদীর জল খনিতে ঢুকে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছিল।

জিএম জানান, বিষয়টি তাঁদের নজরে পড়তেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নদীর পাড় লাগোয়া অবৈধ খাদানগুলি বন্ধ করতে মাটি, পাথর কংক্রিট দিয়ে সুড়ঙ্গের মুখ ভরাট করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘ডিরেক্টর জেনারেল অব মাইন্‌স সেফটির নির্দেশে খনির নিরাপত্তা বজায় রাখতেই ইসিএলকে উদ্যোগী হতে হয়েছে।’’ খনির আধিকারিকেরা দাবি করেন, কয়লা চোরেরা প্রথমে অস্থায়ী বাঁধ দিয়ে নদীর গতিপথ পুরনো পাথর খাদানের দিকে ঘুরিয়ে দেয়। এর পরে মূল নদীর পাড় বরাবর একাধিক অবৈধ খাদান তৈরি করেছিল। সেই সঙ্গেই খোলামুখ খনিতে ঢোকার জন্য বেশ কয়েকটি সুড়ঙ্গ গড়ে তারা।

তবে স্থানীয় কিছু বাসিন্দা ইসিএল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নদী ভরাটের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, নদীতে মাটি ফেলে কার্যত নালায় পরিণত করেছে ইসিএল। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের একটি প্রতিনিধি দল। জিএম শিউপূজন ঠাকুরের অবশ্য দাবি, নদী ভরাট নয়, তাঁরা অবৈধ খাদান বন্ধের সঙ্গে নদীর গতিপথ স্বাভাবিক করেছেন। তাতে এলাকার বাসিন্দারা উপকৃতই হচ্ছেন।

আসানসোলের ভূমি সংস্কার আধিকারিক সমরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু বলেন, ‘‘নদীর পাড় ভাঙা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশদ রিপোর্ট প্রশাসনকে পাঠাব।’’ অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) প্রলয় রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি। অভিযোগ সত্যি হলে থানায় অভিযোগ জানানো হবে।’’ থানায় এখনও এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ হয়নি বলে জানান কমিশনারেটের এসিপি (সেন্ট্রাল) বরুণ বৈদ্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

trespassing coal mine ECL Complaint Asansol
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE