Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিবাহিত আড়াই বছর, আর্জি ‘রূপশ্রী’র

আবেদনের সঙ্গে বিয়ের আমন্ত্রণপত্র এবং সাক্ষী হিসেবে গ্রামের পাঁচ ব্যক্তির সই করিয়ে ব্লক প্রশাসনের কাছে জমা দেন। তার প্রেক্ষিতে সোমবার ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা গ্রামে যান। কিন্তু দেখা যায়, মেয়ের বাড়িতে তালা। বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন আধিকারিকেরা। কিছু পড়শিকে জিজ্ঞাসা করে তাঁরা জানতে পারেন, আমন্ত্রণপত্রে পাত্র হিসেবে যাঁর নাম রয়েছে, তাঁর সঙ্গে আড়াই বছর আগে বিয়ে হয়ে গিয়েছে মেয়েটির

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৮ ০৮:১০
Share: Save:

রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদনপত্র অনুযায়ী বিয়ের দিন ছিল সোমবার। আবেদনকারী পাত্রীর বাড়ি পৌঁছন প্রশাসনের আধিকারিকেরা। কিন্তু পাশের বাড়ির মেয়ের বিয়ে শুনে আকাশ থেকে পড়লেন প্রতিবেশীরা। তাঁরা জানান, যাঁর বিয়ে নিয়ে অনুসন্ধানে আধিকারিকেরা এসেছেন, প্রায় আড়াই বছর আগেই তাঁর বিয়ে হয়ে গিয়েছে।

সোমবার এই ঘটনা আউশগ্রামের ভোতা গ্রামের। রূপশ্রী প্রকল্প চালুর পরে গত চার মাসে শুধুমাত্র আউশগ্রাম ১ ব্লকেই এমন গোটা পাঁচেক ঘটনা ঘটেছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মাসখানেক আগে আউশগ্রামের বিল্বগ্রাম পঞ্চায়েতের ভোতা গ্রামের এক মহিলা রূপশ্রী প্রকল্পে ২৫ হাজার টাকা পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। আবেদনের সঙ্গে বিয়ের আমন্ত্রণপত্র এবং সাক্ষী হিসেবে গ্রামের পাঁচ ব্যক্তির সই করিয়ে ব্লক প্রশাসনের কাছে জমা দেন। তার প্রেক্ষিতে সোমবার ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা গ্রামে যান। কিন্তু দেখা যায়, মেয়ের বাড়িতে তালা। বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন আধিকারিকেরা। কিছু পড়শিকে জিজ্ঞাসা করে তাঁরা জানতে পারেন, আমন্ত্রণপত্রে পাত্র হিসেবে যাঁর নাম রয়েছে, তাঁর সঙ্গে আড়াই বছর আগে বিয়ে হয়ে গিয়েছে মেয়েটির। তাঁদের একটি সন্তানও রয়েছে। এর পরেই তদন্তকারীরা সাক্ষীদের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেন। সাক্ষীরা দাবি করেন, মেয়ের রেশন কার্ড শ্বশুরবাড়িতে স্থানান্তরের কথা বলে ফর্মে সই করান মেয়ের বাবা। বিষয়টি লিখিত ভাবেও ব্লক প্রশাসনকে জানান।

তদন্তকারী কন্যাশ্রী প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সুমন্ত ঘোষ জানান, ঘণ্টা দুয়েক পরে মেয়েটির বাবা ও মা এসে নিজেদের ভুল স্বীকার করেন। তাঁরা স্বীকার করেন, রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পেতেই এমনটা করেছেন। আউশগ্রাম ১ বিডিও চিত্তজিৎ বসু জানান, প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টার জন্য আবেদনকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE