পুঁটি, মৌরলা, খোলসে— এমনই সব চুনোমাছের পদ দিয়ে বড়দিনের দুপুরে খাওয়া-দাওয়াটা বেশ জমে উঠল পূর্বস্থলীর ‘খালবিল উৎসবে’। সঙ্গে থাকল পিঠে-পুলি আর খেজুর গুড়ের দেদার আয়োজন।
এ দিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই বাঁশদহ বিলে বজরার উপরে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। হুগলির গুপ্তিপাড়া থেকে দু’টি বজরা ভাড়া করে আনেন উৎসব কমিটির সদস্যরা। শিল্পীরা পরিবেশন করেন ভাটিয়ালি, বাউল, কীর্তনের পল্লি-সুর।
এর পরে অতিথি আপ্যায়নেও ছিল চমক। বিল থেকে তোলা শাপলা ফুল আর ‘নাগরি’ (খেজুর গুড়় রাখার পাত্র) দিয়ে স্বাগত জানানো হয় অতিথিদের। এ দিন অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই সাহা, জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু প্রমুখ। এ দিন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের উৎসবে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। উৎসব কমিটির দাবি, আজ, সোমবার তিনি আসবেন।
বাঁশদহ বিলের পাড়ে অতিথিদের থাকার জন্য অস্থায়ী তাঁবু তৈরি হয়েছে। রয়েছে নৌকা, ডিঙি ও আঁকা প্রতিযোগিতা। উৎসব উপলক্ষে বিলের চারপাশে বসেছে মেলা। সেখানে পিঠে-পুলির স্টলেও বেশ ভিড় দেখা গেল।
এ বার উৎসব ১৬ বছরে পড়ল। ২০০১ সালে স্বপন দেবনাথের উদ্যোগে উৎসব শুরু হয়। এ দিন স্বপনবাবু বলেন, ‘‘জলাভূমি রক্ষার্থে মানুষকে সচেতন করা এবং বাঙালির পাতে হারিয়ে যাওয়া মাছগুলি ফিরিয়ে আনতেই এই উৎসব।’’
এ দিন বিলের জলে বেশ কিছু চুনোমাছের চারাও ছাড়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy