Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
EPOS

রেশনে স্বচ্ছতা আনতে জোর যন্ত্র ব্যবহারে

বৃহস্পতিবার জেলার রেশন ডিলারদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

ইপিওস।

ইপিওস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২০ ০০:০১
Share: Save:

রেশনে চাল, আটা দেওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে বারবার। এ বার ডিলারদের মধ্যে ‘স্বচ্ছতা’ আনতে নানা ব্যবস্থা নিতে চলেছে খাদ্য দফতর।

বৃহস্পতিবার জেলার রেশন ডিলারদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর দাবি, ‘‘আশা করা যায়, মার্চ-এপ্রিল থেকে ইপিওএস (ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অফ সেল) যন্ত্রের মাধ্যমে রেশন তুলতে পারবেন উপভোক্তারা। ফলে কলকাতা থেকেই কোন উপভোক্তা রেশনে কী নিলেন তা জানা যাবে। এতেই স্বচ্ছতা আসবে।’’

জানা গিয়েছে, প্রথম ধাপে, রেশন ডিলারদের মধ্যে ‘ইপিওএস’ যন্ত্র ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে, ওই যন্ত্রের মাধ্যমে আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ডের সংযোগ করা হয়েছে। তৃতীয় ধাপে, পরিবারের কর্তার আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে। চতুর্থ ধাপে পৌঁছে, পরিবারের এক জন রেশন দোকানে এসে ‘ইপিওএস’ যন্ত্রে আঙুলের ছাপ দিলেই রেশন তুলতে পারবেন। মন্ত্রীর দাবি, জেলায় মোট উপভোক্তার ৫৬ শতাংশের আধার ও রেশন কার্ডের সংযোগ করা হয়েছে। মাসখানেকের মধ্যে পুরোটাই হয়ে যাবে।

খাদ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, ‘ইপিওএস’ যন্ত্র ব্যবহারের শর্ত জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে রয়েছে। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ওই নিয়ম চালু হয়। কোন গ্রাহক তাঁর বরাদ্দ চাল ও আটা তুলছেন তা এই যন্ত্রের মাধ্যমে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকেরা সরাসরি দেখতে পান। তা অনুযায়ী, প্রতি মাসে বরাদ্দ নির্ধারণ করার কথা। তবে শুধু জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতাভুক্ত গ্রাহকেরাই নন, ‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পের গ্রাহকদের লেনদেনের হিসাবও ওই যন্ত্রের মাধ্যমে রাখা হবে বলে রাজ্য খাদ্য দফতর সূত্রের খবর। জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “রেশন দোকান থেকে উপভোক্তারা যাতে মাসে এক দিনেই বরাদ্দ করা দ্রব্য তুলে নিতে পারে, তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে কোন উপভোক্তা, কোন সপ্তাহে মাসের রেশন তুলবেন, সেটা ডিলারকে ঠিক করে দিতে হবে।’’

এই ব্যবস্থার কারণ কী? খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশ জানান, সব উপভোক্তা বরাদ্দ চাল ও আটা তোলেন না। অনেক ডিলারই সেগুলি খোলা বাজারে বিক্রি করে দেন। খাতায় লিখে হিসাব রাখা হয় বলেই ডিলারেরা এই গরমিল করতে পারেন। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল এম আর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর জেলা সম্পাদক পরেশনাথ হাজরা বলেন, “অনেক ডিলার যন্ত্র ব্যবহার নিয়ে চাপ দিচ্ছেন। কিন্তু আমরা স্বচ্ছ ভাবেই ব্যবসা করতে চাইছি। ডিলারদেরও সে কথা জানিয়ে দিয়েছি। বলেছি, মানসিকতা পরিবর্তন করে সরকারের সিদ্ধান্ত মানতে হবে।’’ মন্ত্রী এ দিনের বৈঠকে স্বচ্ছ ভাবে ব্যবসা করলে ডিলারদের কমিশন বাড়ানোর কথা ভাবা হবে বলেও জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE