Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Crime

খুনের তদন্তে ফরেন্সিক দল

এ দিন দুপুরে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কেতুগ্রাম থানার দুই সিভিক ভলান্টিয়ার পাহারায় রয়েছেন।

চলছে তদন্ত। নিজস্ব চিত্র

চলছে তদন্ত। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কেতুগ্রাম শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২০ ০২:১৩
Share: Save:

যুবকের নলিকাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নামল ফরেন্সিক দল। শুক্রবার দুপুরে কেতুগ্রামের পাণ্ডুগ্রামে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধরে তদন্ত করেন বিশেষজ্ঞেরা। বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মৃত বাবন দাসের মা মিনতি দাস দাবি করেন, তাঁর ছেলেকে দুষ্কৃতীরা গলার নলি কেটে খুন করেছে। যদিও খুন না আত্মহত্যা তা নিয়ে তাদের ধন্দ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ধ্রুব দাস বলেন, ‘‘ওই যুবক কী ভাবে মারা গেলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুন না আত্মহত্যা তা জানতে ফরেন্সিক দলকে ডাকা হয়েছে।’’

এ দিন ফরেন্সিক দলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (বায়োলজি) হরেন্দ্রনাথ সিংহের নেতৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দলটি বাড়ির চৌহদ্দির নানা জায়গা থেকে ফটো তোলে। পরে নির্মীয়মাণ বাংলা আবাস যোজনার যে ঘরে দেহ পড়েছিল, সেই ঘরে দীর্ঘ সময় ধরে তদন্ত চালানো হয়। সংগ্রহ করা হয় রক্তের নমুনা সহ মাটি, রক্তমাখা কাপড়, বাড়ির বাইরে বেড়ায় লেগে থাকা রক্ত, পাশের দু’টি ঘরের ছবি। আগে ওই ঘর থেকে একটি মোবাইল, হালকা নীল রঙের প্লাস্টিকের বালতি, বঁটি ও দা উদ্ধার করেছে পুলিশ। হরেন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘‘আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ নমুনা সংগ্রহ করেছি। সেগুলি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা হবে। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট মিলিয়ে দেখার পরেই খুন না আত্মহত্যা তা বোঝা যাবে।’’

এ দিন দুপুরে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কেতুগ্রাম থানার দুই সিভিক ভলান্টিয়ার পাহারায় রয়েছেন। ভিড় জমিয়েছেন গ্রামবাসী। তবে কেউই মুখ খুলতে নারাজ। আবাস যোজনার টাকায় নির্মিত বাড়িটির দেওয়াল গাঁথা হলেও এখনও ছাউনি দেওয়া হয়নি। তার মধ্যেই কিছু অংশে টিনের চাল, কাঠের দরজা লাগিয়ে বাস করতেন বাবন। মিনতিদেবী বলেন, ‘‘আমার ছেলে দিনমজুরের কাজ করত। বউমা চলে যাওয়ার পর থেকে বাড়িতে একাই থাকত। আমি গ্রামেই অন্য দুই ছেলের বাড়িতে থাকি।’’

তাঁর দাবি, গ্রামেরই এক ব্যক্তির বাড়িতে বেশ কয়েকমাস ধরে কাজ করছিলেন বাবন। সেখানে খাওয়া-দাওয়াও করতেন। ওই পরিবারের সঙ্গে কিছুদিন আগে বাবনের অশান্তি হয় বলেও জানান মিনতিদেবী। তাঁর দাবি, ‘‘ওই দিন দুপুরে ছেলেকে ঘরের বাইরে থেকে ডেকে সাড়া পাইনি। দরজা ঠেলে ঢুকে দেখি গলার নলি কাটা অবস্থায় ছেলে পড়ে রয়েছে। তখনই পড়শিদের ডাকি।’’

মৃতের স্ত্রী ফুলি দাসের দাবি, অশান্তির জেরেই স্বামীকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তিনি। হুগলির ভদ্রেশ্বরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে পরিচারিকার কাজ করে দুই ছেলে-মেয়েকে মানুষ করছিলেন। মাস চারেক আগে মেয়ের বিয়েও দেন। তাঁর দাবি, ‘‘আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত না। ফোনে সব শুনে এসেছি। পুলিশ তদন্ত করুক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE