লোকসভা ভোটে আসানসোলে আবারও হারের পরে পশ্চিম বর্ধমান জেলা নেতৃত্বে রদবদল করলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। ভি শিবদাসনের বদলে দলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হল আসানসোলের মেয়র তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। শনিবার কলকাতায় দলের বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের জেলা পর্যবেক্ষক করা হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে।
লোকসভা ভোটের ফল পর্যালোচনায় কালীঘাটে দলের বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা। বৈঠক শেষে তিনি দলের নেতৃত্বে কী রদবদল করা হয়েছে, তা ঘোষণা করেন। পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পরে জিতেন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘আমার প্রথম কাজ দলের বরিষ্ঠ থেকে কনিষ্ঠ, সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দলকে মজবুত করা।’’ তিনি জানান, ৩১ মে আবার কলকাতায় সভা ডেকেছেন দলনেত্রী। সে দিন হারের কারণ নিয়ে যাবতীয় পর্যালোচনা হবে।
দলের সদ্য প্রাক্তন জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন এ দিন বলেন, ‘‘আমি শুক্রবারই দলনেত্রীর কাছে পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। তা গৃহীত হয়েছে।’’ কেন অব্যাহতি চেয়েছেন, সে প্রশ্নে শিবদাসন জানান, হারের সমস্ত দায়িত্ব তিনি নিজের কাঁধে নিচ্ছেন। এ ছাড়া শারীরিক কারণেও তাঁর বিশ্রাম প্রয়োজন। তিনি আরও জানান, এখন তিনি দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র জেলা চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। সেই পদ থেকেও অব্যাহতি চেয়েছেন দলনেত্রীর কাছে। তবে সড়ক পরিবহণ সংস্থার সদস্য হিসেবে থাকতে চান।
তৃণমূলের নানা সূত্রে খবর, জেলা নেতৃত্বে যে রদবদল হবে তা আসানসোলে দলের প্রার্থী মুনমুন সেন বড় ব্যবধানে হারার পরেই আঁচ করা হচ্ছিল। তবে এ দিন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে যতটা সমালোচনার মুখে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা করছিলেন, তা হয়নি বলে জেলা নেতাদের একাংশের দাবি। তাঁরা জানান, ফল নিয়ে আলোচনার শুরুতেই জেলা নেতৃত্বে রদবদলের কথা জানানো হয়। জেলায় দল কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, কোথায় কী খামতি রয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনা করে দলকে মজবুত করার নির্দেশ দেওয়া হয় জিতেন্দ্রকে। তবে তাঁর মেয়র পদ ছাড়া নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy