Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Kanyashree

৯৬ শতাংশকে কন্যাশ্রীর সুবিধা, দাবি প্রশাসনের

জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত প্রায় ৯৬ শতাংশ পড়ুয়াকে প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২০ ০৭:৩৭
Share: Save:

করোনা পরিস্থিতিতে গত প্রায় আট মাস বন্ধ রয়েছে স্কুল। কিন্তু তার পরেও ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য ‘সাফল্য’ মিলেছে বলে দাবি পশ্চিম জেলা প্রশাসনের। তবে ১০০ শতাংশ সাফল্য পেতে এখনও কয়েক ধাপ এগোতে হবে বলে জানিয়েছে জেলা শিক্ষা দফতর। বছর শেষের আগেই নথিভুক্ত সব পড়ুয়াকে প্রকল্পের টাকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত প্রায় ৯৬ শতাংশ পড়ুয়াকে প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। অথচ, ১৪ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, মাত্র ছ’শতাংশ পড়ুয়াই এই সুবিধা পেয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এর কারণ হিসেবে প্রশাসনের কর্তারা করোনা পরিস্থিতিকেই দায়ী করেছেন। কারণ, মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে টানা স্কুল বন্ধ। ফলে, প্রকল্পের সুবিধা প্রদানের ফর্ম-পূরণ করা, তা জমা নেওয়া এবং পরবর্তী সব পদক্ষেপই অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এই প্রকল্পের সুবিধা মিলবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয় অভিভাবকদের মধ্যেও।

কিন্তু, নভেম্বরের গোড়ায় পাওয়া সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ৯৬ শতাংশ পড়ুয়াকে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া গিয়েছে। জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘জেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৬৪ হাজার পড়ুয়ার নাম ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পে নথিভুক্ত হয়েছে। ৫০ হাজারেরও বেশি পড়ুয়া প্রকল্পের টাকা পেয়েছে। বাকিদেরও দ্রুত টাকা দেওয়া হবে।’’ তবে, এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে কোন ‘জাদুতে’ এত দ্রুত ছ’শতাংশ থেকে সংখ্যাটা ৯৬ শতাংশ হল? জেলার প্রশাসনের কর্তারা জানান, সেপ্টেম্বরের পর্যালোচনা বৈঠকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের অগ্রগতির হাল দেখে জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি ও অতিরিক্ত জেলাশাসক শুভেন্দু বসুর উদ্যোগে মিড-ডে মিলের চাল, আলু ও ছোলা দেওয়ার পাশাপাশি, পড়ুয়াদের অভিভাবকদের ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের ফর্মও দেওয়া হয়। স্কুলগুলির শিক্ষক-শিক্ষিকারা ছাত্রীদের বাড়ি-বাড়ি ঘুরে সেই ফর্ম পূরণ করিয়ে নিয়ে আসেন। ৩ ও ৪ অক্টোবর পরপর দু’দিন জেলার সব স্কুলে বিশেষ শিবির করে ফর্ম-পূরণ করা ও জমা নেওয়া হয়। এর জন্যই সাফল্য মিলেছে বলে দাবি।

জেলাশাসক বলেন, ‘‘জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকেরা নিয়মিত গ্রামে-গ্রামে গিয়ে কন্যাশ্রী-সহ নানা প্রকল্পের সুবিধা পড়ুয়ারা পাচ্ছে কি না, সে বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন।’’ জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বারের তুলনায় এ বার এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাত হাজার নতুন পড়ুয়া প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Kanyashree Government
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE