প্রতীকী ছবি।
ফি বর্ষায় নালা ও রাস্তা উপচে জল ঢুকে যায় বাড়িতে। ঘরের আসবাবপত্র, বিছানা ও দামী জিনিসপত্র সবই জলে ভেজে। দেওয়ালে নোনা ধরে। অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলরকে বার বার এই সমস্যার কথা জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। শেষমেশ এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আস্ত বাড়িকেই মাটি থেকে আরও কয়েক ফুট উঁচু করা হচ্ছে। আসানসোলের মহীশিলার ঘটনা।
আসানসোল পুরসভার ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডের মহিশীলা সানভিউ পার্ক। এখানেই সপরিবার থাকেন স্কুল শিক্ষক বিকাশ সাধু। বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়ে দেখা গেল, বিকাশবাবুর বাড়ি উঁচু করা দেখতে ভিড় জমিয়েছেন পড়শিরাও। বিকাশবাবু জানান, হরিয়ানার একটি সংস্থা কাজটি করছে। সেই সংস্থার তরফে ইঞ্জিনিয়ার কিষান মাহাতো ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে পুরো প্রক্রিয়াটির তদারকি করেছেন। তিনি জানান, বাড়ির চারপাশের দেওয়ালের শেষ থেকে মেঝের গভীর পর্যন্ত বেশ কিছুটা অংশ কাটা হয়েছে। কাটা অংশে একাধিক ‘জ্যাক’ বসানো হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট লিভার দিয়ে জ্যাকগুলি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বাড়িকে ঠেলে উঁচু করা হচ্ছে। একমাত্র স্তম্ভের (পিলার) উপরে তৈরি হওয়া ইমারতগুলিতেই এই প্রক্রিয়া প্রয়োগ করা যায়। বাড়িটি উপরে উঠে যাওয়ার পরে স্তম্ভ থেকে বাড়ির মেঝের ফাঁকা অংশে ইট, বালি, সিমেন্টের গাঁথনি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। তবে এই প্রযুক্তির ব্যবহার এই প্রথম নয় রাজ্যে। এমনকি, আসানসোলেও এই ঘটনা প্রথম নয়। কিষানবাবু বলেন, ‘‘এই রাজ্যে এ পর্যন্ত ১৩টি দোতলা বাড়িকে আমরা এই পদ্ধতিতে উপরে তুলেছি। মাস কয়েক আগে আসানসোলের মহীশিলা বটতলা এলাকাতেও এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।’’ বিকাশবাবু জানান, পুরো কাজটি করতে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে।
কিন্তু কেন এই প্রযুক্তি ব্যবহারের দরকার পড়ল? বিকাশবাবু, তাঁর পড়শি নীহারকণা মণ্ডলদের অভিযোগ, ‘‘বর্ষায় ঘরে হাঁটু সমান জল হয়ে যায়। অনেক দিন ধরেই এমনটা চলছে। ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’’ যদিও স্থানীয় কাউন্সিলর শিবদাস চট্টোপাধ্যায় জানান, জল বার করার পথ তৈরি করা হয়েছে। একটি বড় নিকাশি নালাও তৈরি করা হচ্ছে। আশা করা যায়, সমস্যা মিটবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy