দেওয়ালে ফাটল। —নিজস্ব চিত্র
মাঝে-মাঝেই কেঁপে উঠছে ঘরবাড়ি। কয়েকটি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ দুর্গাপুরের রাতুড়িয়া-অঙ্গদপুর শিল্পতালুক লাগোয়া হেড কোয়ার্টার ও তেঁতুলতলা কলোনি এলাকার বাসিন্দাদের। বিষয়টি সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিএমইআরআই) কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখার আর্জি জানানো হবে বলে জানান ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলো সাঁতরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই এলাকাবাসী কম্পন অনুভব করছেন। তাঁদের দাবি, ঘরবাড়ি কেঁপে উঠছে। কাঁপছে দরজা-জানলাও। বেশ কয়েকটি বাড়ির দেওয়াল, ঘরের মেঝে, সিঁড়ি, এমনকি অ্যাসবেস্টসের চালে ফাটল ধরেছে বলে অভিযোগ। তাতে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে। বাসিন্দারা জানান, কম্পনের কারণ নিয়ে তাঁরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, কোনও কারখানায় বিশেষ ভারী কোনও যন্ত্র চালু হওয়ার জন্য এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ হালিম বলেন, ‘‘কেন এ ভাবে কম্পন হচ্ছে বুঝতে পারছি না। দুপুর বা রাত, সময়ের কোনও ঠিক নেই, হঠাৎ কাঁপতে শুরু করছে বাড়ি।’’ তিনি দাবি করেন, তাঁর বাড়ির প্রায় সব জায়গায় ফাটল ধরেছে। আগে এই সমস্যা ছিল না। নতুন চালু হওয়া কোনও কারখানায় কোনও যন্ত্রের ব্যবহারে হচ্ছে কি না, তা প্রশাসনের দেখা উচিত বলে তাঁদের দাবি। প্রবীণ বাসিন্দা প্রশান্ত করের কথায়, ‘‘এক-এক সময়ে এমন ভাবে কাঁপছে যে মাথা ধরে যাচ্ছে। দরজা-জানলায় আওয়াজ হচ্ছে। বাড়িতে ফাটল ধরেছে। ভেঙে পড়বে কি না জানি না!’’ অমৃতা কর্মকার নামে এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘বাড়ি-ঘর কেঁপে ওঠে। মেঝেতে রাখা বাসনপত্রও কাঁপতে থাকে। বাচ্চাদের নিয়ে থাকি। কখন কী হয়, সেই আতঙ্কে রয়েছি।’’
কাউন্সিলর জানান, সিএমইআরআই কর্তৃপক্ষকে সমস্যার কারণ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থার পরামর্শ দেওয়ার আর্জি জানানো হবে। গণস্বাক্ষর সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে। প্রশাসনিক স্তরেও বিষয়টি জানানো হবে। কোনও কারখানার জন্য এমন পরিস্থিতি হলে কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy