Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

জল মাপতে যন্ত্র, নেওয়া হবে ব্যবস্থাও

ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, এই যন্ত্রের সাহায্যে নদীর পাড়ে ও মাঝে জলের গভীরতা কত, তা বোঝা যায়।

চলছে সমীক্ষার কাজ। নিজস্ব চিত্র

চলছে সমীক্ষার কাজ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কেতুগ্রাম শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

ভাগীরথীর ভাঙনে একটু একটু করে তলিয়ে যাচ্ছে জমি, বাড়ি। কোথাও মাটি ভেঙে গাছের শিকড় নদীর উপরে ঝুলছে। ভাগীরথীর ভাঙনে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে কেতুগ্রামের মৌগ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়ণপুর, নতুনগ্রাম, রঘুপুর, জানান এলাকাবাসীই। ওই তিন গ্রাম ভাঙনে ঠিক কতটা ক্ষতিগ্রস্ত তা বুঝতে বিশেষ সমীক্ষা চালাল সেচ দফতরের ‘রিভার রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ শাখা।

সেচ দফতর জানায়, শুক্রবার ওই তিন গ্রামে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়। তা চলবে এক সপ্তাহ ধরে। সেচ দফতর জানায়, ‘অ্যাকোস্টিক ডপলার কারেন্ট প্রোফাইলার’ (এডিসিপি) যন্ত্রের সাহায্যে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। ভাগীরথীর জলে এই যন্ত্র নামিয়ে বিভিন্ন স্থানে নদীর গভীরতা মাপা হচ্ছে। সমীক্ষা শুরুর দিনে ছিলেন রিভার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তরফে অভিজিৎ রায়।

ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, এই যন্ত্রের সাহায্যে নদীর পাড়ে ও মাঝে জলের গভীরতা কত, তা বোঝা যায়। ভাঙনের ফলে ওই গ্রামগুলির সঙ্গে নদীর দূরত্ব প্রতি বছর কত ফুট করে কমছে, তা-ও জানাবে এই সমীক্ষা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নতুনগ্রাম, কল্যাণপুর গ্রামে ভাঙনে অনেক বাসিন্দার জমি, বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে। কল্যাণপুরের অপর পাড়ে থাকা রঘুপুর গ্রামে রয়েছে একশো ঘর বাসিন্দা। কল্যাণপুরে ভাগীরথীর সঙ্গে মিশেছে বাবলা নদী। বর্ষায় জল বাড়লে কল্যাণপুর ঘাট ডুবে যায়। তখন কল্যাণপুর থেকে রঘুপুর ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই এলাকায় ঘাট না থাকায় কল্যাণপুর ঘাটে স্নান করেন স্থানীয়েরা। ফলে অপরিকল্পিত ভাবে ঘাট ব্যবহারে ভাঙন বাড়ছে বলেই দাবি সেচ দফতরের।

এ ছাড়া, রঘুপুর থেকে মোকামপাড়া পর্যন্ত ছ’কিলোমিটার রাস্তা ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নতুনগ্রাম। স্থানীয়দের দাবি, ভাঙনের জেরে গ্রামে আর মাত্র ন’কাঠার মতো জমি অবশিষ্ট রয়েছে। ফি বছর নানা পরিদর্শন ও সমীক্ষা হলেও ভাঙন রোধে বিশেষ কাজ হয়নি বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। বর্ষা এলেই তাই দুশ্চিন্তা বাড়ে।

যদিও মৌগ্রামের প্রধান পিপাসা মালিক প্রধান বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের তরফে ভাঙন রোধে বড় কোনও প্রকল্প নেওয়া সম্ভব নয়। ভাঙন রোধে এত বেশি পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করা পঞ্চায়েতের পক্ষে সম্ভব নয়।’’ সেচ দফতরের ময়ূরাক্ষী সাউথ ক্যানাল ডিভিশনের মহকুমা সেচ আধিকারিক জাহাঙ্গির হোসেন অবশ্য বলেন, ‘‘আগামী বছর ভাঙন রোধে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার জন্যই এই সমীক্ষা। জলসম্পদ ভবনেও এখানকার ভাঙনের পরিস্থিতি কী, তা জানানো হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Irrigation River Bhagirathi Erosion
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE