প্রতীকী ছবি
আরএসএস প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন ‘ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘে’র (বিএমএস) কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার লাউদোহা (ফরিদপুর) থানার ঝাঁঝড়া কোলিয়ারির বিএমএস-এর ওই কার্যালয়ে গিয়েই সংগঠনের নেতৃত্বের হাতে মেরামতির জন্য টাকা তুলে দিলেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
বৃহস্পতিবার পানশিউলি গ্রামে দলের এক আক্রান্ত নেতাকে দেখতে গেলে বিজেপির প্রতিনিধি দলকে প্রথমে বাধা ও পরে থানা থেকে বেরনোর সময়ে ওই মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এর কিছুক্ষণ পরেই বিএমএস-এর ওই কার্যালয়েও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিএমএস নেতা অসীমাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “বিএমএস-কে বিজেপির শ্রমিক সংগঠন মনে করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সংগঠনের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের পরামর্শে ঘটনার কথা জানিয়ে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্রবাবুকে হোয়াটস অ্যাপ করি।’’
এর পরে শনিবার বিকেলে জিতেন্দ্রবাবু দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায়, ব্লক তণমূল নেতা সুজিত মুখোপাধ্যায় প্রমুখকে নিয়ে বিএমএস-এর ওই কার্যালয়ে আসেন। কথা বলেন শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে। পরে বিধায়ক দাবি করেন, ‘‘আমাদের দলের কেউ এই ঘটনায় জড়িত নয়। বিএমএস-এর দাবি, হামলাকারীদের হাতে আমাদের দলীয় পতাকা ছিল। তাই আমাদের স্থানীয় নেতৃত্বকে খোঁজ নিতে বলেছি। গণতান্ত্রিক পরিবেশে সবাই নিজের কর্মসূচি পালন করতে পারেন।’’ পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্রবাবু জানান, বিএমএস-এর নেতাদের তিনি নিরাপদে কার্যালয় চালান, এই আশ্বাস দিয়েছেন। সমস্যা হলে সরাসরি তাঁকে ফোন করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বিধায়ক বলেন, ‘‘আমার বিধানসভা এলাকায় সব দল, সংগঠন যাতে নিজেদের কর্মসূচি পালন করতে পারে সেটা বিধায়ক হিসেবে আমার দেখা দায়িত্ব।’’ এ দিন বিধায়ক শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বকে দশ হাজার টাকার অনুদান তুলে দেন।
যদিও বিএমএস নেতা অসীমাভবাবু বলেন, ‘‘আমরা কোনও অনুদান চাইনি। উনি নিজেই দিয়েছেন। আমাদের একটাই দাবি ছিল। তা হল, আমাদের কর্মসূচি পালন করতে যেন বাধা না দেওয়া হয়। বিধায়ক নিজে আমাদের কার্যালয়ে এসে আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন। আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy