Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in west bengal

রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’, দেহ দেওয়ায় বিতর্ক

হাসপাতালের দাবি, মৃতের সংস্পর্শে আসা সবার লালারসের নমুনা নেওয়া হয়েছে এ দিন। আইসিইউ ওয়ার্ডের একটা দিক বন্ধ রেখে জীবাণুমুক্ত করাও হয়েছে। 

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২০ ০২:০৩
Share: Save:

হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন রোগীর লালারসের নমুনা নেওয়া হয়েছিল। তবে সেই রিপোর্ট আসার আগেই মৃত্যু হয় রোগীর। দেহ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়ায় তাঁরা আরও লোকজনকে নিয়ে শ্মশানঘাটে নিয়ে গিয়ে তা দাহও করে দেন। সোমবার ওই লালারসের নমুনার রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ আসার পরে কালনা মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সমালোচনায় ছেয়ে গিয়েছে ‘সোশ্যাল মিডিয়া’। যদিও গাফিলতি মানতে নারাজ হাসপাতাল। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার দাবি, অনেক সময় রিপোর্ট পেতে সাত দিনও লেগে যায়। ততদিন দেহ সংরক্ষণ করে রাখার মতো পরিকাঠামো নেই। সেই কারণে দেহ দিয়ে দেওয়া হয় পরিবারকে। কিন্তু করোনা-সংক্রমণ যেখানে হু হু করে বাড়ছে সেখানে এমন পরিকাঠামো নিয়ে এমন ‘বক্তব্য’ কি মেনে নেওয়া যায়, উঠেছে সেই প্রশ্ন। হাসপাতালের দাবি, মৃতের সংস্পর্শে আসা সবার লালারসের নমুনা নেওয়া হয়েছে এ দিন। আইসিইউ ওয়ার্ডের একটা দিক বন্ধ রেখে জীবাণুমুক্ত করাও হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা পূর্বসাতগাছিয়া এলাকার মাঝেরপাড়ার বাসিন্দা সাতষট্টি বছরের ওই বৃদ্ধার ‘সেরিব্রাল অ্যাটাক’ হয়। অসুস্থ অবস্থায় ১ অগস্ট কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ৪ অগস্ট তাঁর লালারসের নমুনা পাঠানো হয় করোনা পরীক্ষার জন্য। ৭ অগস্ট বৃদ্ধা বাড়ি ফিরে যান। পরের দিন ফের অসুস্থ হয়ে পড়ায় মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। রবিবার ভোরে তিনি মারা যান। ওই দিনই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেহ তুলে দেয় বৃদ্ধার পরিবারের হাতে। বেশ কয়েকজন পরিজন এবং প্রতিবেশীদের নিয়ে শ্মশানঘাটে দেহ দাহ করা হয়। সোমবার সকালেই রিপোর্টে জানা যায়, মৃত করোনা ‘পজ়িটিভ’ ছিলেন। এর পরেই এলাকায় ছড়িয়ে পরে আতঙ্ক।

পূর্ব সাতগাছিয়ার বাসিন্দা মনজিৎ মৌলিক বলেন, ‘‘চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে মহকুমা হাসপাতাল। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃতদেহ ছাড়া উচিত নয়। হাসপাতালের গাফিলতির কারণে বহু মানুষের মধ্যে করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমণও ছড়াতে পারে।’’ নিদেনপক্ষে দেহটি প্লাস্টিক জাতীয় কিছুতে মুড়ে পরিবারের হাতে দেওয়া যেত বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।

কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাইয়ের দাবি, ‘‘রোগীর অবস্থা খারাপ ছিল। তাঁকে চিকিৎসার জন্য আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল। রিপোর্ট আসতে দু’-এক দিন দেরি হয়। রোগীর মৃত্যুর পরে দেহ আর কতক্ষণ আটকে রাখা যায়!’’ পরিকাঠামোর অভাবের কথা মেনে নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও দাবি তাঁর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in west bengal Death Kalna SDO Hospital
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE