প্রস্তুতি স্কুলে। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
বিয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছিল পরিবার। কন্যাশ্রী ক্লাবের সৌজন্যে বিয়ে আটকেছে তারা। বাগদেবীর আরাধনায় মেতে উঠল এমনই কন্যাশ্রীরা।
গত এক বছরে স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যদের চেষ্টায় বিয়ে আটকেছে আউশগ্রামের হাটকীর্তিনগর বালিকা বিদ্যালয়ের জনা চারেক নাবালিকার। তাদের কারও বাড়ি গোন্না, কারও হাটকীর্তিনগর, কারও বিজয়পুরে। এ জন্য কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যেরা মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে শংসাপত্রও পেয়েছে। রবিবার স্কুলে গিয়ে দেখা গেল, ওই মেয়েরাই পুজোর কাজে ব্যস্ত। কারও দায়িত্ব পড়েছে পুজোর উপকরণ জোগাড়ের, কারও আলপনা দেওয়ার। তাদেরই মধ্যে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী জানায়, বিয়ে নিয়ে বাড়িতে টানাপড়েনের দিন আর মনে রাখতে চায় না তারা। এখন মন দিয়ে শুধু পড়াশোনা করতে চায়। স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্য এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী জানায়, যে সব মেয়েদের বিয়ে আটকানো গিয়েছিল, তারাই এখন তাদের সবচেয়ে ভাল বন্ধু। তার কথায়, ‘‘আর এ নিয়ে আমরা কোনও ভয় করি না। এক জন সহপাঠীকে বিপদ থেকে বাঁচাতে আমরা তৈরি।’’ স্কুল সূত্রে জানা যায়, মাস সাতেক আগে এই স্কুলের নবম শ্রেণির এক পড়ুয়ার বিয়ে দেয় পরিবার। মেয়েটি বাপের বাড়ি ফিরে এসেছে। সে ফের পড়াশোনা করতে চায়। সে বলে, ‘‘বাড়ি থেকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু সরস্বতী পুজোর দিন থেকে ফের স্কুলে যাব, পড়াশোনা করব।’’ ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা অপরাজিতা সাহা বলেন, ‘‘যে মেয়েদের বিয়ে আটকানো হয়েছে, তারা উৎসাহের সঙ্গে পুজোর কাজ করছে, আমাদেরও ভাল লাগছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy