Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

সময় পার, তালিকা তৈরিই হয়নি কৃষি পেনশনের

জেলার ছবিটা এমনই। স্বভাবতই কৃষি পেনশনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি কৃষি দফতর। কবে তা পূরণ করা সম্ভব হবে বা আদৌ হবে কি না, তা নিয়েও সন্দিহান দফতরের কর্তারা। যদিও উপ-কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “অসংরক্ষিত প্রাপকদের মধ্যে বেশির ভাগেরই নাম পাওয়া গিয়েছে। তবে সংরক্ষিতদের মধ্যে অনেকে আবেদনের পরে জাতিগত শংসাপত্র দিতে পারছেন না বলে সমস্যা রয়েছে।’’

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:২০
Share: Save:

নভেম্বরের মধ্যে কৃষি পেনশন প্রাপকদের নাম রাজ্যে পাঠিয়ে অনুমোদন নেওয়ার কথা ছিল। সেখানে ফেব্রুয়ারির শেষে প্রবীণ চাষিদের নাম চেয়ে তাড়া দিচ্ছেন দফতরের কর্মীরা।

জেলার ছবিটা এমনই। স্বভাবতই কৃষি পেনশনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি কৃষি দফতর। কবে তা পূরণ করা সম্ভব হবে বা আদৌ হবে কি না, তা নিয়েও সন্দিহান দফতরের কর্তারা। যদিও উপ-কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, “অসংরক্ষিত প্রাপকদের মধ্যে বেশির ভাগেরই নাম পাওয়া গিয়েছে। তবে সংরক্ষিতদের মধ্যে অনেকে আবেদনের পরে জাতিগত শংসাপত্র দিতে পারছেন না বলে সমস্যা রয়েছে।’’

গোটা জেলায় কৃষি পেনশন পেতেন প্রায় ২৮০০ জন। এ বছর আরও ১৮৭২ জন নতুন প্রাপক চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয় জেলার পঞ্চায়েত সমিতিগুলি। জেলা জুড়ে আবেদন জমা দেন ৩৭৭৩ জন চাষি। তার মধ্যে ৯১৪ জনের নাম অনুমোদিত হয়েছে। কৃষি দফতরের একটি রিপোর্ট অনুয়ায়ী, আউশগ্রাম ১ ব্লকে ৪০ জনের জায়গায় পাঁচ জন, বর্ধমান ১ ব্লকে ১২০ জনের জায়গায় ১৮ জন, বর্ধমান ২ ব্লকে ৭০ জনের জায়গায় আট জন, গলসি ১ ব্লকে ৩৩ জন ও গলসি ২ ব্লকে ২৭ জনের জায়গায় এক জনের নামও কৃষি পেনশনের তালিকায় তোলা যায়নি। মেমারি ১ ব্লকে কৃষি পেনশন প্রাপকের সংখ্যা ১৬০ জন। সেখানেও কোনও প্রবীণ চাষিকে পেনশন দিতে পারছে না কৃষি দফতর। কেতুগ্রাম ১ ব্লকে ৬১ জনের জায়গায় পাঁচ জন, মঙ্গলকোটে ১০০ জনের জায়গায় পাঁচ জন, কেতুগ্রাম ২ ব্লকে ১৪ জনের জায়গায় কারও নাম বাছা যায়নি। মন্তেশ্বরে ৮৫ জনের জন্য আবেদন করেছেন ৭৯৪ জন। সেখানে কৃষি পেনশন দেওয়া গিয়েছে ৩৭ জনকে।

সিপিএমের কৃষকসভার নেতা বিনোদ ঘোষ বলেন, “কৃষকেরা নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকে পেনশন পেতেন। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতি নিজেদের দ্বন্দ্বে কাকে পেনশন দেওয়া হবে, সেটাই ঠিক করতে পারেনি। ফলে প্রবীণ চাষিরা সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’’ কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায়, রায়না ২ ব্লকে ১৭৩ জনের জায়গায় আবেদন জমা পড়েছে ৭৯৮টি, কেতুগ্রাম ২ ব্লকে ১৪টির জায়গায় আবেদন জমা পড়েছে ২১৪টি।

জেলা পরিষদের কৃষি, সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল বলেন, “বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতি থেকে এখনও তালিকা আসেনি। ওখানে সম্ভবত এখনও পেনশন প্রাপকদের নাম ঠিক করা যায়নি। জেলা কৃষি দফতরকে চিঠি করে দ্রুত নাম চাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE