আকনবাগানে মৃত যুবকদের পরিবারের সঙ্গে কথা বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
খাদানে নেমে মৃত যুবকদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন পশ্চিম বর্ধমানের কুলটির বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। আলডিহির আকনবাগান এলাকায় গিয়ে মঙ্গলবার তিনি মৃতদের পারলৌকিক ক্রিয়ার জন্য অর্থসাহায্য তুলে দেন। সেই সঙ্গে পরিবারগুলির রোজগারের বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত সংসার খরচের ব্যবস্থা তিনি করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। গ্রামের বাসিন্দারা তাঁর কাছে এলাকার সব গরিব পরিবারগুলির জন্য সরকারি সুযোগ-সুবিধার বন্দোবস্ত করার আবেদন জানান। সে ব্যাপারেও উদ্যোগের আশ্বাস দিয়েছেন উজ্জ্বলবাবু।
আলডিহিতে অবৈধ খাদানে কয়লা কাটতে নেমে আকনবাগানের তিন জনের মৃত্যুর ঘটনার পরেই গ্রামের বাসিন্দারা সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুযোগ পান না বলে অভিযোগ ওঠে। বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, তাঁদের বেশিরভাগেরই দিনমজুরি করে পেট চলে। কিন্তু বিপিএল তালিকায় নাম ওঠেনি। রেশন কার্ড, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই। দু’টাকা কিলো দরে চাল এবং বিধবা ও বার্ধক্য ভাতা পান না কেউই। তাই ঝুঁকি নিয়েই অবৈধ খাদানে কয়লা কাটতে নামতে বাধ্য হন গ্রামের অনেকে, দাবি করেন বাসিন্দারা।
রবিবার গ্রামে গিয়ে মৃতদের পরিবারকে অর্থসাহায্য করেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। মঙ্গলবার সকালে গ্রামে যান বিধায়ক উজ্জ্বলবাবু। তিনি গ্রামের প্রবীণদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আজ, বুধবার সকালে বাসিন্দারা মৃত তিন জনের পারলৌকিক ক্রিয়ার ব্যবস্থা করেছেন। তার খরচ বাবদ গ্রামের প্রবীণদের হাতে ৬০ হাজার টাকা তুলে দেন বিধায়ক। মৃতদের পরিবারের সদস্যদের আরও ১৫ হাজার টাকা দেন তিনি। উজ্জ্বলবাবু বলেন, ‘‘তিনটি পরিবারই খুব গরিব। যাঁরা রোজগার করতেন, দুর্ঘটনায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। সাধ্যমতো পরিবারগুলিকে সাহায্য করব।’’ গ্রামের মোড়ল সাগেন মারান্ডি বলেন, ‘‘বিধায়কের উদ্যোগে খুব উপকার হয়েছে। তবে গ্রামে আরও অনেক গরিব পরিবার আছে। তাঁরাও যেন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পায়, সে বিষয়ে বিধায়ককে সচেষ্ট হওয়ার আর্জি জানিয়েছি।’’
গ্রামের বাসিন্দারা কেন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা এখনও পাচ্ছেন না, সে প্রশ্নে উজ্জ্বলবাবুর জবাব, ‘‘এই বিষয়টি এক্তিয়ারে নেই। পুরসভা দায়িত্বে রয়েছে। তবে আমি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।’’ আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি দাবি করেন, ‘‘ওই গ্রামে বিপিএল তালিকা আগের রাজ্য সরকারের আমলে তৈরি হয়েছিল। সেই তালিকায় আরও অনেক নাম সংযোজনের জন্য কেন্দ্রের অনুমতি চেয়েছি। তা এখনও মেলেনি। অনুমতি এলেই সংযোজন হবে।’’ তিনি আরও জানান, বিধবা বা বার্ধ্যক্য ভাতার জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তা বাড়লেই নতুন নাম সংযোজন করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy