Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

নিহতের বাড়িতে নেতারা, শান্তি বজায় রাখার আর্জি

এ দিন নিহত ইয়াসিন শেখের বাড়িতে যান আউশগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ সালেক রহমান-সহ ব্লকের নেতারা। তাঁরা পরিবারের লোকজনের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তা ছাড়া, এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এলাকার তৃণমূল কর্মীদের প্রতি আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানান ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রশান্ত গোস্বামী। 

 মোতায়েন পুলিশ। আউশগ্রামের জয়কৃষ্ণপুরে। নিজস্ব চিত্র

মোতায়েন পুলিশ। আউশগ্রামের জয়কৃষ্ণপুরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২০ ০২:৪৬
Share: Save:

রাস্তা তৈরি নিয়ে দুই গোষ্ঠীর গোলমালের জেরে সংঘর্ষে নিহতের বাড়িতে গেলেন তৃণমূল নেতারা। পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার পাশাপাশি এলাকায় শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান তাঁরা। আউশগ্রামের জয়কৃষ্ণপুর এলাকায় পুলিশের বড় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

এ দিন নিহত ইয়াসিন শেখের বাড়িতে যান আউশগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ সালেক রহমান-সহ ব্লকের নেতারা। তাঁরা পরিবারের লোকজনের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তা ছাড়া, এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এলাকার তৃণমূল কর্মীদের প্রতি আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানান ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রশান্ত গোস্বামী।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রামে ইয়াসিনের দেহ আসেনি। দেহ আসার পরে যাতে নতুন করে কোনও অশান্তি না তৈরি হয়, সে জন্য বড় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়। তবে অভিযুক্তেরা এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে। নতুন করে কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রের দাবি, বুধবার সন্ধ্যায় আউশগ্রামের বেরেন্ডা পঞ্চায়েতের জয়কৃষ্ণপুরে একটি পিচের রাস্তা তৈরির তদারকির দায়িত্বে কারা থাকবে, তা নিয়ে তৃণমূলের স্থানীয় দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ বাধে। মারপিটের ঘটনায় দু’পক্ষের ছ’জন জখম হন। তাঁদের মধ্যে ইয়াসিনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় পাঠানো হয়। শুক্রবার বিকেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

তৃণমূল সূত্রের দাবি, ইয়াসিন দলের আউশগ্রাম ১ ব্লক কিসান সেলের সভাপতি আকবর শেখের অনুগামী হিসাবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই এলাকা ফের তেতে ওঠে। তবে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষের ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের স্থানীয় ৪ নম্বর বুথ কমিটির সভাপতি লতিফ মণ্ডলও। যদিও তৃণমূলের বেরেন্ডা অঞ্চল সভাপতি হাকিম শেখের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। পুরনো বিবাদের জেরেই অশান্তির সূত্রপাত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE