দুর্গাপুরের অনুষ্ঠানে। নিজস্ব চিত্র
সভায় আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে মানুষজনকে— আদিবাসী দিবসে দুর্গাপুরে সভায় অভিযোগ করলেন আদিবাসী সংগঠনের নেতারা। ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও। মঞ্চে বসে তাঁদের এই ক্ষোভের কথা শুনলেন পূর্ব বর্ধমানের বিদায়ী জেলা সভাধিপতি তথা তৃণমূল নেতা দেবু টুডু। যদিও বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাননি তিনি।
রাজ্য জুড়ে বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালন করছে সরকার। দুর্গাপুরেও বিভিন্ন ব্লকে সরকারি ভাবে তা পালনের উদ্যোগ হয়েছিল। দুর্গাপুরের পলাশডিহায় আলাদা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘পশ্চিম বর্ধমান আদিবাসী গাঁওতা’। ছিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডি। মঞ্চে তাঁর পাশেই বসেছিলেন দেবুবাবু।
এই অনুষ্ঠান আয়োজনে পুলিশ ও শাসকদলের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন আদিবাসী নেতারা। তাঁদের দাবি, এই অনুষ্ঠানে কখনও রাজনীতির রং দেখা হয় না। অথচ, কয়েকদিন ধরে নানা এলাকায় পুলিশ-প্রশাসন ও শাসকদলের লোকজন নানা ভাবে আদিবাসী মানুষজনের উপরে চাপ তৈরি করেছেন, সভায় আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। বীরভূম ‘আদিবাসী জুমিত গাঁওতা’র সম্পাদক রবিন সরেন বলেন, ‘‘পনেরো দিন আগে চাওয়া সত্ত্বেও সভার লিখিত অনুমতি মেলেনি।’’
সভায় রাজ্য সরকারের গড়া আদিবাসী উন্নয়ন কমিটিরও সমালোচনা করেন রবিবাবু। ভবিষ্যতে ওই কমিটিকে বয়কট করার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেন, এই জেলায় বহু সরকারি জায়গায় আদিবাসীরা বাস করে। তাদের জমি পাট্টা বা লিজ দেওয়ার ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। গ্রামের সমাজ যাঁরা চালান তাঁদের সম্মান দেওয়া হয়নি। তাঁর দাবি, ‘‘সরকারের কাছে শুধু প্রতিশ্রুতি মিলেছে। আদিবাসীদের উন্নয়নে প্রায় কিছুই করা হয়নি। শুধু নাচ-গান দিয়ে মাতিয়ে রাখা হয়েছে। এ বার কাজ না হলে আন্দোলন হবে।’’
গোটা বিষয়টি নিয়ে দেবুবাবু বলেন, ‘‘আদিবাসী সংগঠন নিজেদের মতো অনুষ্ঠান করছে। সবার অধিকার আছে, যে যার মতো করে দিনটি পালন করবে। দু’চারটি কথা উঠে এসেছে। এ সব নিয়ে বলার কিছু নেই। সরকারের উদ্যোগে সারা রাজ্য জুড়ে আদিবাসী দিবস পালিত হচ্ছে।’’ জেলার পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা আদিবাসী নেতাদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy