—ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ আড়াই দশক ধরে ‘গার্হস্থ্য উপভোক্তা’র হারে জলকর নেওয়ার পরে, বিধাননগরের প্রায় ৫০টি সমবায় আবাসনে ‘বাণিজ্যিক হারে’ জলকর নেওয়া শুরু করেছে দুর্গাপুর পুরসভা। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ সেখানের আবাসিকেরা। তাঁরা ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে পুরসভার মেয়র ও মেয়র পারিষদকে (জল সরবরাহ)চিঠি দিয়েছেন।
‘দুর্গাপুর গ্রুপ হাউজ়িং কো-অর্ডিনেশন কমিটি’র সভাপতি মদন সরকার জানান, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে গ্রুপ হাউজ়িং কমপ্লেক্সে মোট ৪৬টি সমবায় আবাসন রয়েছে। ১৯৯৪ থেকে মোট ৫৯৬টি পরিবার এখানে বাস করে। মূলত, ডিএসপি, এএসপি থেকে স্বেচ্ছাবসর নেওয়া এবং বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা এমএএমসি ও এইচএফসি-র কর্মীরা সমবায় তৈরি করে এখানে আবাসন গড়েন। ২০১৮-র এপ্রিল পর্যন্ত আবাসনগুলিতে জল সরবরাহের দায়িত্বে ছিল আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এডিডিএ)। এর পরে এই দায়িত্ব এডিডিএ হস্তান্তর করে পুরসভাকে।
মদনবাবুর অভিযোগ, আবাসনের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি হয় পুরসভার। সেই চুক্তির অন্যতম শর্ত হিসেবে, প্রত্যেক সমবায় আবাসনকে নিজের খরচে জলের মিটার বসাতে হয়। এর পরে কোনও রকম কথা না বলে উপভোক্তার চরিত্র বদল করে গার্হস্থ্য সংযোগ বদলে দিয়ে বাণিজ্যিক সংযোগ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর ফলে, জলের দাম প্রতি এক হাজার লিটারে ৩ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে ৫ টাকা হয়ে যায়।
‘গ্রুপ হাউজ়িং কো-অর্ডিনেশন কমিটি’র সম্পাদক সৃজিত সিংহ বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে সবাই চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি। এই সময়ে এ ভাবে জলের দাম বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কোনও ভাবেই মানা যাচ্ছে না।’’ কমিটি সূত্রে জানানো হয়েছে, বহু আবাসনে অবসরপ্রাপ্ত মানুষজন থাকেন। তাঁদের আয় সীমিত। এ ভাবে জলের দাম বাড়িয়ে দিলে তাঁদের উপরে চাপ পড়বে।
‘গ্রুপ হাউজ়িং কো অর্ডিনেশন কমিটি’ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে মেয়র ও মেয়র পারিষদকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুরসভার মেয়র পারিষদ (জল সরবরাহ) পবিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘পুরবোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জলকরের বিষয়ে সার্বিক সিদ্ধান্ত বলবৎ করা হয়েছে শহরের সব জায়গায়। বিধাননগরের ওই আবাসনের বাসিন্দারা ভুল বুঝছেন। আগের থেকে তাঁদের জলকর কম দিতে হচ্ছে এখন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy