Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বর্জ্য জলে দূষণের নালিশ

বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। দ্রুত কুয়ো সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা।

এই কুয়োর জল নিয়েই অভিযোগ ঝাঁঝড়ায়। নিজস্ব চিত্র

এই কুয়োর জল নিয়েই অভিযোগ ঝাঁঝড়ায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
লাউদোহা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০৮
Share: Save:

বেসরকারি ফাউন্ড্রি কারখানার বর্জ্য জলে দূষিত হচ্ছে শ্মশানঘাটের কুয়ো। এর জেরে বিপাকে পড়তে হচ্ছে শবদাহ করতে আসা মানুষজনকে। এই অভিযোগে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের ঝাঁঝড়া এলাকায় অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে কারখানার গেটের সামনে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাঁঝড়া সংলগ্ন এলাকায় কয়েকটি বেসরকারি ইস্পাত অনুসারী কারখানা গড়ে উঠেছে। তার মধ্যে অন্যতম এই কারখানাটি। সেটির কাছেই রয়েছে এলাকার একমাত্র শ্মশান। সেখানে বড় কোনও জলাশয় নেই। একটি ছোট ডোবা রয়েছে। বছরভর জল থাকে না সেটিতে। জলের সমস্যা মেটাতে একটি কুয়ো খোঁড়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কারখানার বর্জ্য জল এসে মিশছে কুয়োর জলে। ফলে, কুয়োর জল দূষিত হয়ে পড়ছে। শবদাহ করতে এসে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে মানুষজনকে। কারখানার এক আধিকারিক অবশ্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা সুজন সূত্রধরের অভিযোগ, কারখানা কর্তৃপক্ষকে সমস্যার কথা বারবার বলেও লাভ হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘কারখানা কর্তৃপক্ষ কুয়ো সংস্কারের জন্য স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাকে টাকা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। কিন্তু তার পরে পেরিয়ে গিয়েছে বহু দিন। কোনও কাজ হয়নি।’’ পরিস্থিতি না পাল্টালে কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভ হবে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। ব্লক তৃণমূল নেতা, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (খাদ্য সরবরাহ) সুজিত মুখোপাধ্যায় অবশ্য কোনও তৃণমূল নেতার টাকা নেওয়ার অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। দ্রুত কুয়ো সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Pollution Borewell Environment
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE