Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

জলে ভরেনি লেক, পুজো নিয়ে চিন্তা

আটের দশকের মাঝামাঝি দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট (ডিএসপি) ডিএসপি টাউনশিপের কেন্দ্রে ৮০ একর জায়গা জুড়ে তৈরি করে কুমারমঙ্গলম পার্ক।

কুমারমঙ্গলম পার্কের এই লেক নিয়েই চিন্তা। নিজস্ব চিত্র

কুমারমঙ্গলম পার্কের এই লেক নিয়েই চিন্তা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ০০:০৪
Share: Save:

এ বার গ্রীষ্মে শুকিয়ে গিয়েছিল দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের কুমারমঙ্গলম পার্কের ‘লেক’। বর্ষা বিদায় নেওয়ার মুখে। কিন্তু এখনও সে লেক জলে ভরেনি। ফলে, ছট পুজোয় কী ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে, তা নিয়ে চিন্তায় শহরের বিভিন্ন ছটপুজো কমিটি। পার্কের ‘দখল’ থাকা সংস্থার জন্যই এই পরিস্থিতি কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কমিটির সদস্যেরা।

আটের দশকের মাঝামাঝি দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট (ডিএসপি) ডিএসপি টাউনশিপের কেন্দ্রে ৮০ একর জায়গা জুড়ে তৈরি করে কুমারমঙ্গলম পার্ক। পার্কের মাঝে রয়েছে বিশাল লেক। নৌকা বিহারের ব্যবস্থাও রয়েছে। কিন্তু এ বার মে মাস থেকে দেখা যায়, পার্কের লেকের জলস্তর দিন দিন কমছে। শেষে তা শুকিয়ে যায়। রোদে ফুটিফাটা হয়ে যায় মাটি। এ ভাবে অতীতে কখনও লেক শুকোয়নি, দাবি দুর্গাপুরের বহু প্রবীণের।

শহরবাসী জানান, বর্ষায় লেকে সামান্য জল জমেছে ঠিকই। কিন্তু এখনও লেকের তলায় জন্মানো আগাছা দেখা যাচ্ছে উপর থেকে। জলের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। এ দিকে, ছট পুজোর সময় এগিয়ে আসছে। ওই লেকে বহু ঘাট তৈরি করা হয়। প্রায় ছ’শো জন পুজো সারেন ওই লেকে। তা ছাড়া, ছট পুজো উপলক্ষে প্রায় দশ হাজার মানুষের সমাগম হয় পার্কে। কিন্তু লেকের হাঁটু জলে কী ভাবে ভক্তেরা পুজো সারবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছে ছটপুজো কমিটিগুলি।

২০০৬-এ ডিএসপি শর্ত সাপেক্ষে পার্কের দেখভাল ও পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেয় এক বেসরকারি সংস্থার হাতে। সেই সংস্থার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে দু’পক্ষের বিবাদ গড়ায় আদালত পর্যন্ত। এখনও পার্কের দখল রয়েছে ওই সংস্থার হাতেই। ছটপুজো কমিটিগুলির তরফে দাবি করা হয়েছে, ওই সংস্থা ছটপুজো করতে দিতে বাধা দিয়েছিল শুরুর দিকে। পরে আদালতের নির্দেশে তারা পিছু হটে।

বর্ষায় শহরের অন্য পুকুর, জলাশয় ভরে গিয়েছে। ফলে, যে ভাবে আর পাঁচটা জলাশয় জলে ভরে উঠেছে, সেখানে পার্কের লেক এখনও প্রায় জলশূন্য কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ছট পুজো কমিটিগুলি। দুর্গাপুর ইস্পাতনগরী মহাছট পূজা সেবাসমিতির তরফে রাজেশ কুমারের অভিযোগ, ‘‘পার্কে ঢোকার জন্য প্রত্যেককে ২৫ টাকা করে প্রবেশমূল্য দিতে হয়। কিন্তু ছটপুজোর সময় সেই নিয়ম খাটে না। তাই পার্ক কর্তৃপক্ষই হয়তো কোনও ভাবে লেকে জল জমতে বাধা তৈরি করেছেন।’’ যদিও সংস্থাটির তরফে দেবাশিস রায় বলেন, ‘‘লেক শুকিয়ে যাওয়ায় শহরবাসী বঞ্চিত হচ্ছেন। পার্কের আকর্ষণ কমে গিয়েছে। তা ছাড়া, পার্কের গাছ বাঁচাতে বাইরে থেকে জল কিনে সেচ দিতে হয়েছে। তাই, এমন অভিযোগ হাস্যকর।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chhath Rain Water
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE