এই বাড়িতেই হামলা বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র
এক বিজেপি কর্মীকে মারধর ও তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল এক দল যুবকের বিরুদ্ধে। বিজেপির দাবি, হামলাকারীরা তৃণমূলের লোক। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে কুলটি থানার সাঁকতোড়িয়ায়। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, বুধবার আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের দফতরে এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। যদিও তাদের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি বলে দাবি সাঁকতোড়িয়া ফাঁড়ি পুলিশের। অভিযোগ হলে ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ দিকে বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
সাঁকতোড়িয়ার ১০৫ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচ নম্বর ধাওড়ার বাসিন্দা মণীশ বার্নোয়ালের দাবি, মঙ্গলবার রাত দশটা নাগাদ তাঁর বাড়িতে দুদফায় হামলা চলিয়েছে তৃণমূল। প্রথমে জনা পাঁচেক তৃণমূল কর্মী তাঁর বাড়িতে গিয়ে গালিগালাজ করে। সে সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যেরা প্রতিবাদ করায় তারা তখনকার মতো পালিয়ে যায়। মণীশবাবুর অভিযোগ, ‘‘কিছু ক্ষণ পরে আমি বাড়িতে পৌঁছলে প্রায় ১৫ জনের একটি দল ফের চড়াও হয়। ঘরের আসবাবপত্র ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। আমাকে মারধর করে ওরা।’’ বাড়ির মহিলা, শিশুদেরও নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি জানান, খবর পেয়ে সাঁকতোড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশ এলাকায় পৌঁছলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় কাউন্সিলর অভিজিৎ আচার্যের মদতে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি মণীশবাবুর। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বহু দিন থেকেই তিনি আমাকে বিজেপি ছেড়ে তাঁদের দলে যোগ দিতে বলছিলেন। আমি রাজি হইনি। সে জন্য রাগ তো ছিলই। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় গিয়েছিলাম। এলাকায় দলীয় পতাকা ব্যানার ও ঝুলিয়েছিলাম। তাই আমার বাড়িতে উপরে হামলা চালানো হয়েছে।’’
অভিজিৎবাবু অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এ সব মনগড়া কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের দলকে অপদস্থ করা হচ্ছে।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফাঁড়িতে কোনও অভিয়োগ জমা পড়েনি। অভিযোগ এলে উপযুক্ত তদন্ত করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy