Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
দুই মহকুমায় ভোট-বৈঠক

কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলের দাবি কাটোয়ায়

বুধবার কাটোয়া ও কালনায় ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া ও কালনা শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৯ ০২:৩৪
Share: Save:

সর্বদল বৈঠকে অশান্তির আশঙ্কা প্রকাশ করে উত্তেজনাপ্রবন এলাকা ঘোষনার দাবি আগেই তুলেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। এ বার ‘সন্ত্রাসমুক্ত’ পরিবেশ বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ করানোর দাবি জানাল কাটোয়ার বিজেপি নেতৃত্ব। সম্প্রতি এই দাবিতে কাটোয়ার মহকুমাশাসককে চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁরা।

বুধবার কাটোয়া ও কালনায় ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। কাটোয়ায় বৈঠকের পরে জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘কোন এলাকায় আগে কী ধরনের অশান্তি হয়েছে, তা দেখা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলির বক্তব্য শোনা হয়েছে। উত্তেজনাপূর্ণ এলাকার তালিকা চাওয়া হয়েছে।’’ তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী কবে জেলায় আসতে পারে, সে নিয়ে তিনি কিছু বলেননি।

গত পঞ্চায়েত ভোটে কাটোয়ায় সব আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে শাসকদল। গত সপ্তাহে সর্বদল বৈঠকে পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদল সন্ত্রাস চালিয়েছিল বলে অভিযোগ তোলেন সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি নেতারা। কাটোয়া মহকুমার সব বুথ স্পর্শকাতর ঘোষণার দাবি জানানো হয়। বুধবার বিজেপি নেতা কৃষ্ণ ঘোষ, অনিল দত্তেরা দাবি করেন, ‘‘কাটোয়ার পাঁচটি ব্লকে যত দ্রুত সম্ভব কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ করা প্রয়োজন।’’ অনিলবাবু অভিযোগ করেন, কেতুগ্রামের মৌগ্রাম, কাটোয়া ২ ব্লকের গাজীপুরের কদমতলা, মঙ্গলকোটের দুরমুট, নিগনের মতো বেশ কয়েকটি জায়গায় তাঁদের কর্মীদের দেওয়াল লিখতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। পানুহাট থেকে দাঁইহাট পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকয় তাঁদের পতাকা খুলে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ কৃষ্ণবাবুর।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বর্ধমান পূর্বের সিপিএম প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র দাসেরও বক্তব্য, ‘‘মানুষ যাতে নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করবে কমিশন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে ভোট দিতে যাওয়া নিয়ে ভয় দূর হবে।’’ কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘এলাকা শান্তিপূর্ণ রয়েছে বলেই এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী আসেনি। কমিশন প্রয়োজন মনে করলেই বাহিনী পাঠাবে। আমরাও চাই, শান্তিপূর্ণ ভোট হোক।’’ মহকুমাশাসক সৌমেন পাল শুধু বলেন, ‘‘ভোট সংক্রান্ত প্রতিটি অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

এ দিন কাটোয়া মহকুমার তিনটি ডিসিআরসি (‌ভোটকর্মীরা যেখান থেকে ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে যাবেন ও ফিরে এসে জমা দেবেন) পরিদর্শন করেন জেলাশাসক। কাটোয়ায় আরএমসি মার্কেট চত্বর, কেতুগ্রামে কান্দরা কলেজ ও মঙ্গলকোটের একেএম হাইস্কুলে এই কেন্দ্র হবে। প্রশাসনের কর্তারা জানান, ভোট ঘোষনার পর থেকেই নানা মোড়ে নাকাবন্দি শুরু হয়েছে। কেতুগ্রামের ফুটিসাঁকো, কাটোয়ার বল্লভপাড়া ফেরিঘাট, মঙ্গলকোটের লোচনদাস সেতুতে নজরদারি চলছে। মঙ্গলকোটের নিগন বাসস্ট্যান্ডেও নজরদারি শুরু হয়েছে বলে জানান বিডিও মুস্তাক আহমেদ।

এ দিন বিকেলে কালনায় মহকুমাশাসক নীতিশ ঢালির অফিসে ভোট নিয়ে বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব ও অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দম নিয়োগী। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মহকুমায় ভোটের প্রস্তুতি, ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ নিয়ে আলোচনা হয়। কালনা কলেজে ডিসিআরসি হবে। সেখানে পরিদর্শন করেন কর্তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE