সন্তোষ রায়ের ‘পোস্ট’।
প্রার্থিপদ না পেয়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ক্ষোভ উগরে দিলেন বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের ২০১৪ সালের বিজেপি প্রার্থী সন্তোষ রায়। কেন দল তাঁকে প্রার্থী করল না, তার জবাবও তিনি চেয়েছেন। দলকে এর পরিণতি ভুগতে হবে, এমন হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
মেমারির পাল্লা রোডের বাসিন্দা সন্তোষবাবু ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্র থেকে এক লক্ষ ৭১ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। এখন তিনি বর্ধমান পূর্ব ও বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সংযোগকারী পদে রয়েছেন। বিজেপি-র একটি সূত্রের দাবি, সন্তোষবাবুকে প্রার্থী করার দাবিতে দলের বেশ কয়েকটি মণ্ডলের নেতারা দলীয় নেতৃত্বের কাছে চিঠি পাঠিয়ে ছিলেন। রায়না, মেমারি, জামালপুর এলাকার নেতারা ওই চিঠিতে সন্তোষবাবুকে ‘ভাল সংগঠক ও সুবক্তা’ বলেও উল্লেখ করেন। তবে বিজেপি নেতৃত্ব এই কেন্দ্রে এ বার প্রার্থী করেছেন পরেশচন্দ্র দাসকে।
এর পরেই শুক্রবার সকালে ফেসবুকে একটি পোস্ট করে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ কয়েকজন নেতার নাম করে কেন তাঁকে যোগ্য বলে মনে করা হল না, সেই প্রশ্নের জবাব চান। এই পোস্টে ‘কমেন্ট’ করে অনেকে কটাক্ষ করেছেন, অনেকে আবার সমর্থনও জানিয়েছেন। শনিবার সন্তোষবাবু বলেন, “একটা নীতি-আদর্শ সামনে নিয়ে গত ৫ বছরে দীর্ঘ পথ চষেছি। দু’হাজার গ্রাম ঘুরে সংগঠন তৈরি করেছি। নানা নির্যাতনেও সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছি। এখন দল যে কোনও লোককে প্রার্থী করে দিলেই মানতে হবে?’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বর্ধমান পূর্বের এ বারের বিজেপি প্রার্থী পরেশচন্দ্রবাবু জানান, তিনি সন্তোষবাবুর পোস্ট দেখেননি। তিনি বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি না, আমি প্রার্থী হওয়ায় দলের কেউ অসন্তুষ্ট হয়েছেন। আশা করি কোনও সমস্যা হবে না।’’ বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, “সন্তোষদা আমাদের নেতা। তাঁর ক্ষোভ কেটে যাবে। সবাই প্রচারে ঝঁপিয়ে পড়ব।’’
শুধু বর্ধমান পূর্ব নয়, প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পরে রাজ্যের নানা কেন্দ্রেই বিজেপি-র অন্দরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। শনিবার সে প্রসঙ্গে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘প্রার্থী হতে না পারলে সাময়িক ক্ষোভ হয় অনেকেরই। তবে তা কিছু দিনে মিটে যায়। যাঁদের পরেও ক্ষোভের প্রকাশ চলতে থাকবে, তাঁদের দলের বাইরে যেতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy