ভারত নির্বাচন সদন। প্রতীকী চিত্র।
জেলার দু’টি থানার অফিসার ইনচার্জকে সংশ্লিষ্ট থানা থেকে বদলির নির্দেশ দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে ওই দুই অফিসার ইনচার্জকে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও কাজে যুক্ত করা যাবে না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, সোমবার একটি নির্দেশিকায় অণ্ডালের ওসি রাজশেখর মুখোপাধ্যায় এবং বারাবনির ওসি অজয় মণ্ডলকে সম্পর্কে কমিশন ওই নির্দেশ দিয়েছে। কমিশনের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন সিপিএম ও বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ, ওই দুই ওসি-র বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলি ‘মিথ্যা অভিযোগ’ করেছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম ও বিজেপি।
কিন্তু এই ‘বদলি’? বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের অভিযোগ, সম্প্রতি অণ্ডালের ধান্ডাডিহি গ্রামে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়ের প্রচার চলাকালীন কয়েক জন বাধা দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় তাঁরা পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছিলেন কমিশনের কাছে, জানান লক্ষ্মণবাবু।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ ছাড়া জেলার আরও কয়েকটি থানার ওসি-র বিরুদ্ধেও তাঁরা নির্বাচন কমিশনের কাছে নিষ্ক্রিয়তা এবং পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ করেছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
অন্য দিকে, সিপিএম ও বিজেপি সূত্রের খবর, দু’টি দলই বারাবনির ওসি-র বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ করেছিল। সিপিএম নেতা বংশগোপাল চৌধুরী জানান, তাঁদের প্রার্থী গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়কে মারধর করা হয়েছিল বারাবনিতে। পুলিশ প্রার্থীকে সুরক্ষা দিতে পারেনি, কমিশনের কাছে এমনই অভিযোগ করেন বংশগোপালবাবুরা। সম্প্রতি বাবুলের প্রচার চলাকালীনও গোলমাল বাধে বারাবনিতে। সেখানেও রাজশেখরবাবুর বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতেই কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি করেন বিজেপি ও সিপিএম নেতারা। তাঁরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগতও জানিয়েছেন।
যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, “বিরোধীরা পায়ের তলার মাটি হারিয়েছে বুঝে ওসি-দের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে মিথ্যা অভিযোগ করে প্রচারে আলোয় আসতে চাইছে। এতে লাভ হবে না। কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু বলার নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy